হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবু তাহের
আত্মগোপন না থেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবু তাহের । শনিবার ১৬ ই সেপ্টেম্বর দুপুরে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ…
হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবু তাহের
আত্মগোপন না থেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবু তাহের । শনিবার ১৬ ই সেপ্টেম্বর দুপুরে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন । যদিও আত্মগোপন নয় আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আবু তাহের ছিলেন বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন । খুনের মামলায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে জড়ানো হয়েছে বলে তার পরিবারের দাবি । সুবিচার পেতে,বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখেছেন তার পরিবারের লোকজন ।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের রেজাল্ট ছিল ২ মে । ৩ মে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি হামলার শিকার হন । কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মে দেবব্রত মাইতির মৃত্যু হয় । ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মৃত ব্যক্তির ভাইপো সুশান্ত মাইতি মামলা করে । সেই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে । ২০২১ সালের ৩০ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয় । দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সিবিআই আধিকারিকরা তদন্ত চালায় চিল্লগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় । ধৃত ব্যক্তিদের দফায় দফায় জেরা করা হয় । ২০ জনের নাম উঠে আসে তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে । দু'দফায় প্রিলিমিনারি চার্জশিটে প্রথমে ৩ জন এবং পরে ১১ জনের নাম উঠে আসে । পরবর্তীকালে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ৬ জনের নাম যোগ হয় । তাতেই রয়েছে আবু তাহেরের নাম । তার বিরুদ্ধে ও ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩০২ (খুনের)ধারা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু সিবিআই জেরাতে না গিয়ে ২০২২ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । জামিনের জন্য আবেদন করেন । সেখানে জামিনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ সন্তোষজনক না হওয়ার ফলে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ।
৪ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতে ২ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয় । সেই মতো হলদিয়া মহকুমা আদালতে শনিবার ১৬ ই সেপ্টেম্বর তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন । এ বিষয়ে আত্মসমর্পণকারীর ছেলে শেক ওয়াসিম আহমেদ জানিয়েছেন,"২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বাবার নাম পরিকল্পিতভাবে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । তবে বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা,ভরসা সবটাই রয়েছে । সুবিচার পাব । সত্যের জয় হবেই ।" আসামির আইনজীবী মনসুর আলম জানিয়েছেন,"আমার মক্কেল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই ছিলেন । কখনো আত্মগোপন করেননি । তবে এই মামলার গুরুত্বের সঙ্গে আমার মক্কেলের সম্পর্ক বিচার করে দ্রুত জামিনের জন্য শুনানির বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বিবেচনা করতে বলেছেন । বিচার প্রক্রিয়া উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিতেই এদিন নিম্ন আদালতে তিনি হাজিরা দিয়েছেন ।" মামলায় ধৃত ১৭ জন আগেই জামিন পেয়েছেন । তাদের মধ্যে নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেক সুপিয়ান, তার জামাই সেক হাবিবুল,সেক শাহাউদ্দিন, শেখ বাইতুল রয়েছেন । সিবিআই চোখে ফেরার ছিলেন ৩ জন । ফেরার থাকা শেক আবু তাহের আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও এখনো ফেরার শেক খুশনবী এবং শেখ আমানুল্লাহ । ১৯ সেপ্টেম্বর ফের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জজের এজলাসে হাজিরা দেবেন তাহের ।
No comments