ড্রোনের মাধ্যমে অনলাইন ডেলিভারি
প্রয়োজনীয় ওষুধ শেষ? দরকার এক্ষুনি? রেস্তরাঁয় না গিয়ে বাড়িতে বসেই লাঞ্চ কিংবা ডিনার সারতে চান? রান্নাঘরে চাল, ডাল, তেল, মশলা প্রভৃতি বাড়ন্ত? অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও তাড়াতাড়ি চাই? এবার থেকে এসবের…
ড্রোনের মাধ্যমে অনলাইন ডেলিভারি
প্রয়োজনীয় ওষুধ শেষ? দরকার এক্ষুনি? রেস্তরাঁয় না গিয়ে বাড়িতে বসেই লাঞ্চ কিংবা ডিনার সারতে চান? রান্নাঘরে চাল, ডাল, তেল, মশলা প্রভৃতি বাড়ন্ত? অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও তাড়াতাড়ি চাই? এবার থেকে এসবের আর দুশ্চিন্তা নেই। আপনার বাড়ির সামনেই উড়ে আসবে ওষুধ, খাবারদাবার, মুদি দোকানের সামগ্রী থেকে শুরু করে বহু ধরনের পণ্য। কারণ, উন্নত দেশগুলি মতোই এবার কলকাতা সংলগ্ন নিউটাউনেও শুরু হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে অনলাইন ডেলিভারি। বাংলায় এমন উদ্যোগ এই প্রথম। দিল্লির একটি সংস্থার মাধ্যমে মিলবে এই পরিষেবা। তারা ইতিমধ্যেই নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনকেডিএ) কাছে এই প্রস্তাব পেশ করেছে। বিষয়টি দেখে রাজিও হয়েছে এই উন্নয়ন সংস্থা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দু’-তিনমাসের মধ্যেই এই পরিষেবা পেতে চলেছেন নিউটাউনের বাসিন্দারা।
অনেক উন্নত দেশে ড্রোনের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিস চালু আছে। এই পরিষেবা এদেশেও চালু হয়েছে নয়ডা, গুরুগ্রাম এবং হরিয়ানায়। তবে এটি বাংলায় এখনও চালু হয়নি। এমন অত্যাধুনিক পরিষেবার জন্য বাংলার মধ্যে নিউটাউনকেই প্রথম বেছে নেওয়া হয়েছে।
দিল্লির যে সংস্থা এই পরিষেবা দেবে দিন দুই আগেই তারা কলকাতায় এসে প্রকল্পের একটি প্রেজেন্টেশন দিয়ে গিয়েছে। সেখানে এনকেডিএ’র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনও ছিলেন। সমস্ত বিষয় দেখে, দেবাশিসবাবু তাঁর সম্মতি জানিয়েছেন। কারণ, ড্রোনের মাধ্যমে সহজে এবং দ্রুত পরিষেবা পাওয়া সম্ভব হবে। দ্বিতীয়ত, স্মার্ট সিটি হিসেবে ড্রোন পরিষেবার সংযোজন নিঃসন্দেহে নিউটাউনের গুরুত্ব বৃদ্ধি করবে।
পরিষেবা দেওয়ার জন্য ওই সংস্থা নিজেদের ড্রোনই ব্যবহার করবে। তাদের ড্রোনগুলি ৫০০ গ্রাম থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত ওজনের প্যাকেট সরবরাহ করতে পারবে। ওই সংস্থা ইতিমধ্যেই নিউটাউনের ১০ থেকে ১২টি হাউজিং সোসাইটির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড্রোন পরিষেবার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলারও কাজ চলছে। প্যাকেট ড্রপ করার জন্য স্কাইপড তৈরি করা হয়। ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারির জন্য হেলথ কেয়ার, ই-কমার্স, এগ্রি কমোডিটি প্রভৃতি সাইটের সঙ্গে চুক্তি করা হবে। আরও কী কী লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার, পুরো প্রক্রিয়া অপারেট হবে কীভাবে, কী পরিষেবা থাকবে সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবা দ্রুত প্রদানের জন্য অনেক সময় গ্রিন করিডর তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়ে। পরবর্তী দফায় সেটি ড্রোনের মাধ্যমেই করা সম্ভব কি না, শুরু হয়েছে সেই ভাবনাও। নিউটাউনের পর, দ্বিতীয় দফায় সল্টলেক এবং কলকাতার অন্যান্য অংশেও ড্রোনের মাধ্যমে এই ডেলিভারি পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
No comments