Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ডাক্তার ও নার্স না থাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পুর স্বাস্থ্য পরিষেবা

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/wGkJf7LsciU

ডাক্তার ও নার্স না থাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পুর স্বাস্থ্য পরিষেবা১৩জন নার্স পুরসভার চাকরি ছাড়ায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পুর স্বাস্থ্য পরিষেবায়। কারণ চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের …

 


ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

https://youtu.be/wGkJf7LsciU



ডাক্তার ও নার্স না থাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পুর স্বাস্থ্য পরিষেবা

১৩জন নার্স পুরসভার চাকরি ছাড়ায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পুর স্বাস্থ্য পরিষেবায়। কারণ চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দু'টি একেবারে নার্সশূন্য হয়ে পড়েছে। পুরসভায় একসঙ্গে এতজন নার্সের শূন্যস্থান কীভাবে পূরণ হবে, তা নিয়ে চিন্তায় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরও। নার্সরা ন্যাশনাল আরবান হেল্থ মিশনের অধীন পুরসভার চুক্তিভিত্তিক চাকরি ছেড়ে দল বেঁধে সরকারি স্থায়ী পদের কাজ বেছে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

 রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যাচ্ছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের অধীনে পুরসভায় চারটি আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার অর্থাৎ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে মোট ন'জন স্টাফ নার্স এবং ২০ জন কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সিএইচএ নার্স ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নার্সের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক বলে জানা যায়। এই পরিস্থিতিতে ন'জন স্টাফ নার্সের মধ্যে সাতজন এবং ছ'জন কমিউনিটি হেল্‌থ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইস্তফা দেওয়ায় নার্সের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

জানাযায় ২০১৫ সালে চালু হয়েছিল, পুরসভার নন্দরামপুর, রঘুনাথচক, তেঁতুলবেড়িয়া এবং গেঁওয়াড়াব, এই চারটি এলাকায় আরবান হেল্থ সেন্টার । হলদিয়া পৌরসভা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত হয়ে গেছে দেভোগ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরবর্তীকালে নতুন একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রাক্তন কাউন্সিলরের সৌজন্যে উপহার পেয়েছে গত কয়েক মাস আগেই। দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এখন চাবি লাগানো অবস্থায় রয়েছে।

বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য এবং চিকিৎস পরিষেবা দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। সম্প্রতি তিনজন ডাক্তার যোগ দিলেও একজন ভালো সুযোগ পেয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। চুক্তির চাকরি হওয়ায় ডাক্তাররা থাকতে চান না। ফলে দু'টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। কোনওরকমে নার্সরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালাতেন। এবার তাঁরাও চলে যাওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও সমস্যা দেখা দেবে

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক নার্স বলেন, তেঁতুলবেড়িয়া এবং রঘুনাথচকে মোট দু'জন নার্স রয়েছেন। বাকি দু'টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পুরো ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। এত রোগীর চাপ কীভাবে সামলাব জানি না। জানা গিয়েছে, হেল্থ মিশন প্রকল্পের অধীনে সিএইচএ নার্সরা কম টাকা বেতন পেতেন। চুক্তির চাকরি ছেড়ে তাঁরা স্থায়ী চাকরি বেছে নিয়েছেন। তাঁরা বলেন, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মূলত অফিসিয়াল কাজ করতে হয়। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারব এবং পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। 

পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার তাপস মুখোপাধ্যায় জানান, নার্সরা গণ ইস্তফা দেওয়ায় পুরসভার স্বাস্থ্যপরিষেবা ভীষণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানিয়েছি। সূত্রে জানা যায় সিএমওএইচ বিভাস রায় বলেন, পুরসভার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্যানেলে যদি নার্সরা থাকেন তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করা যায় তার জন্য আবেদন করলেন হলদিয়া পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী শাসমল  এবং গ্রাম কমিটির সদস্য তরণী চরণ সাঁতরা

 স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কটাক্ষ করেছেন বিএমএস রাজ্য সহ-সভাপতি প্রদীপ বিজলী তিনি বলেন দীর্ঘদিন পৌরসভা নির্বাচন না হওয়ায় যেমন উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গেছে। মানুষ আলো, পানীয় জল এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে। পৌরসভার মূলত স্বাস্থ্য পরিষেবা পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ না যদি দিতে পারল তাহলে গ্রাম পঞ্চায়েতই অনেক ভালো ছিল। একটা সময় দেখেছিলাম স্মার্ট সিটি হওয়ার জন্য তৎকালীন তৃণমূলের পৌর বোর্ড হইচই শুরু করেছিল। তার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিল স্মার্ট সিটি দেখার জন্য। সেই স্মার্ট সিটি তো দূরের কথা এখন পৌর এলাকার মূলত যে তিনটি মানুষের দাবি সেটাও দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। অবিলম্বে নির্বাচন করুক জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পুনরায় মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরে পাক। 

No comments