Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়া পৌরসভা বেহাল এম্বুলেন্স পরিষেবা !পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ট্রমা এম্বুলেন্স

হলদিয়া পৌরসভা বেহাল এম্বুলেন্স পরিষেবা !পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে  ট্রমা এম্বুলেন্সপড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ট্রমা এম্বুলেন্স,চিকিৎসক ও ড্রাইভার এর অভাবে পৌরসভার ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দার…

 



হলদিয়া পৌরসভা বেহাল এম্বুলেন্স পরিষেবা !পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে  ট্রমা এম্বুলেন্স

পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ট্রমা এম্বুলেন্স,চিকিৎসক ও ড্রাইভার এর অভাবে পৌরসভার ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা । ৩০ লক্ষাধিক টাকার অত্যাধুনিক চিকিৎস সরঞ্জামে সজ্জিত ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারির অভাবে নষ্ট হচ্ছে দামী যন্ত্রপাতি সহ অ্যাম্বুলেন্স । পরিচালনার অভাবে পৌরসভার সামগ্রিক অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ন্যূনতম খরচে পৌরসভার ২৪ ঘন্টার যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু ছিল তা এখন শিখে উঠেছে বলে অভিযোগ। ড্রাইভার না থাকায় একাধিক অ্যাম্বুলেন্স পৌরসভার চত্বরে পড়ে থেকে লোহা লক্কড়ে এর পরিণত হচ্ছে। একটি অ্যাম্বুলেন্স লক্ষাদ্বিক টাকার খরচে সারানোর পরও সেটি ফের পড়ে থেকে কঙ্কালসার চেহারায় নিয়েছে।

হঠাৎ করে পৌর কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। শুধু অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নয় গত এক বছর ধরে পৌর বোর্ড না থাকায় অন্যান্য পৌরসভার পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।

 পৌরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স সহ পৌরসভার ৭টি অ্যাম্বুলেন্স সচল ছিল বছরখানে আগে। তা কমে দাড়ায় পাঁচটিতে বর্তমানে পৌরসভায় তিনটি অ্যাম্বুলেন্স সচল দেখানো হলেও ড্রাইভার রয়েছে দুজন। তবে একটি অ্যাম্বুলেন্স কার্যতো বসেই থাকে।

 নিয়ম অনুযায়ী ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স এর জন্য একজন স্থায়ী ড্রাইভার দধ্যক্ষ চিকিৎসক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু পৌরসভার ট্রমা অ্যাম্বুলেন্সে প্রথম থেকেই তার অভাব রয়েছে তিন বছর আগে হলদিয়া একটি রাস্টায়ত শিল্প সংস্থা সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে সিএসআর থেকে এই অ্যাম্বুলেন্স দেয় হলদিয়া পৌরসভা কে।

ড্রাইভার যে কোন রকম মতে চলে এম্বুলেন্স পরিষেবা রাতের দিকে পরিষেবায় মেলেনা । 

পৌরসভা শিল্পাঞ্চলে কম খরচে  এম্বুলেন্স পরিষেবা দেবে বলে পৌরসভা ওই সংস্থাকে আবেদন জানিয়েছিলেন। ডাক্তার ও ড্রাইভার এর অভাবে পৌরসভার সেই উদ্দেশ্য কার্যত মাঠে মারা গিয়েছে। সাধারণত অ্যাম্বুলেন্স এর মত ব্যবহার করা হলেও সম্প্রতি ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স কলকাতা পর্যন্ত ভাড়া দ্বিগুণ বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হয়েছে। অন্য অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দেড় হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে।

হলদিয়া পৌর মহকুমার শাসক তথা পৌর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বললেন ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার সঠিকভাবে চালু করতে সি এম ও এইচ কে ডাক্তার চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। 

 কিন্তু ডাক্তারের অভাব রয়েছে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন অন্যদিকে পৌরসভার ইও তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন এম্বুলেন্সের জন্য ড্রাইভার এর অভাব রয়েছে ঠিকই তবে পৌরসভার সাধ্যমত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে। পৌর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তেলের দাম বাড়ায় অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।

প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুধাংশু মন্ডল বলেন কম খরচে এম্বুলেন্স পৌরসভা একটি দারুণ পরিষেবা ।বোর্ডের মেয়াদ শেষে সময় পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স চলতো ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স সঠিকভাবে চালু করা যায়নি পৌর বোর্ড থাকাকালীন একথা তিনি স্বীকার করেন।

 বাসিন্দাদের অভিযোগ পৌরসভায় গিয়ে ইদানিং জন্ম মৃত্যুর সার্টিফিকেট সহ একাধিক দপ্তরে পৌর কর্মীদের দেখাই মেলে না ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।পৌর সভার ই ও নির্দেশকে তারা অগ্রাহ্য করেন। 

সিপিএম নেতা পরিতোষ পট্টনায় এবং বিজেপি নেতা প্রদীপ বিজলী বলেন পৌরসভার দ্রুত বোর্ড গঠন না হলে সাধারণ মানুষ আরো পৌর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে। অবিলম্বে নির্বাচন করার দরকার রয়েছে।

No comments