বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ৫০ শয্যা করার দাবি পর্যাপ্ত বেড না থাকায় সমস্যায় রোগীরা। কেউ হাসপাতাল থেকে অস্থায়ীভাবে মেলা ক্যাম খাটে আশ্রয় নেন আবার কেউ মেঝেতে ঠাঁই নেন। তাই মহিষাদল আসেন। ব্লকের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীদ…
বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ৫০ শয্যা করার দাবি
পর্যাপ্ত বেড না থাকায় সমস্যায় রোগীরা। কেউ হাসপাতাল থেকে অস্থায়ীভাবে মেলা ক্যাম খাটে আশ্রয় নেন আবার কেউ মেঝেতে ঠাঁই নেন। তাই মহিষাদল আসেন। ব্লকের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন আরও বাড়ছে। ৫০ বেড বাড়ানোর দাবি উঠেছে। সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় এই দাবি তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী। রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী সেই দাবি কার্যকর করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তা এবং স্বাস্থ্য দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ।
মহিষাদল ব্লকের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালটি দীর্ঘ প্রায় ৪৩ বছরের পুরনো। বর্তমানে এখানে ৩০টি বেড রয়েছে। কিন্তু ১১টি অঞ্চল বিশিষ্ট মহিষাদল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার চাহিদা অনুযায়ী তা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ জন রোগী আউটডোরে ভিড় করেন। তাই ৩০টি বেড বাকি রোগীদের ভর্তি করতেই হয়। আর সেই পরিস্থিতিতে কেউ অস্থায়ীভাবে ক্যাম খাট পান। আবার কাউকে নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে মেঝেতে চিকিৎসার জন্য ঠাঁই নিতে হয়। আবার প্রসূতি মায়েদের নিরাপদ ঠিকানা বাসুলিয়া গ্রামীণ না হাসপাতাল। সেই সঙ্গে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সুনাম রয়েছে। তাই মহিষাদল ছাড়িয়ে সুতাহাটা, নন্দকুমারের পাশাপাশি এলাকা এমনকি নন্দীগ্রামের কিছু মানুষও এই হাসপাতালে চিকিৎসার খাতিরে স্বাভাবিকভাবে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন রোগী তাই স্থানীয় বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী বিধানসভায় বেড বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন। তিনি জানান, “মহিষাদল ব্লকের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোর সঙ্গে স্থানীয় রোগীদের চাহিদার বিস্তর ফারাক রয়েছে। অসুস্থ মানুষ সুস্থ হওয়ার জন্য হাসপাতালে যান। কিন্তু হাসপাতালের তরফে তাদেরকে উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে প্রয়োজন অনুযায়ী বেড না থাকার সমস্যা, সত্যি কষ্টকর বিষয়। তা বুঝেই হাসপাতালটিকে ৩০ বেড থেকে ৮০ বেডে উন্নীত করার জোরালো দাবি বিধানসভায় রেখেছি। আশা করি স্বাস্থ্য দফতর গুরুত্ব দেবে।” মহিষাদল ব্লকের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণকান্তি মণ্ডল জানান,
চেষ্টা আমাদের হাসপাতালে ৫০টি বেড বাড়াতে হবে। আমাদের বিধায়ক এ বিষয়ে তৎপর হয়েছেন। আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান ঘটবে।” এমনই আশা প্রকাশ করেছেন বিএমওএইচ। মসৃণ চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গেলে এই বাসুলিয়া হাসপাতালে এই বেড বাড়ানো খুব জরুরী বলে তিনি জানিয়েছেন।
No comments