Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলেন ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবক

১৭ চিকিৎসকের চেষ্টা, মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলেন ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবক প্লেটলেট নেমে গিয়েছিল ১৩ হাজারে। দ্রুত নামতে থাকে রক্তচাপ। লিভারও অকেজো হওয়ার মুখে। ৪৮ ঘণ্টা জেগে থেকে ১৭ চিকিৎসকের প্রাণপণ চেষ্টায় অবশেষে চোখ খুললেন ডেঙ্গু আক্রা…

 




১৭ চিকিৎসকের চেষ্টা, মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলেন ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবক

 প্লেটলেট নেমে গিয়েছিল ১৩ হাজারে। দ্রুত নামতে থাকে রক্তচাপ। লিভারও অকেজো হওয়ার মুখে। ৪৮ ঘণ্টা জেগে থেকে ১৭ চিকিৎসকের প্রাণপণ চেষ্টায় অবশেষে চোখ খুললেন ডেঙ্গু আক্রান্ত নন্দীগ্রামের দিনদার হোসেন। ফিরলেন সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে।

নন্দীগ্রামের বছর ৪৩ এর যুবক দিলদার হোসেন হলদিয়া বন্দরের অস্থায়ী কর্মী। জাহাজে কর্মরত ছিলেন। জ্বর নিয়ে ৭ আগস্ট নন্দীগ্রামের বাড়িতে ফেরেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা পড়ে। রক্তচাপ দ্রুত নামতে থাকে। রক্তের স্বাভাবিক প্লেটলেট যেখানে দেড় থেকে প্রায় দু'লাখ থাকার কথা, সেই জায়গায় তাঁর ১৯ হাজার। লিভারও ভাল কাজ করছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গড়ে চিকিৎসা শুরু করেন। পাশাপাশি স্টেট কনসালটেন্ট জ্যোতির্ময় পাল, রাজ্যের জনস্বার্থে বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা ডাক্তার দীপঙ্কর মাজি এবং সহ অধিকর্তা অসিত বিশ্বাসের সঙ্গে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য ঘটনা জেলার সিএমওএইচ অসিতকুমার দেওয়ান, নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুপার পবিত্র হালদার, সি সি ইউ ইনচার্জ নারায়ণ মল্লিকের সঙ্গে শুরু হয় টেলি কনফারেন্স। এদিকে অচেতন হয়ে পড়েন রোগী। নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট, ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের মোট ১৭ জন ডাক্তার একযোগে চিকিৎসায় নামেন। শুরু হয় ফ্লুইড থেরাপি। অবশেষে ৯ আগস্ট সন্ধ্যা রোগী সাড়া দেন। উদ্বেগ কাটিয়ে ডাক্তারদের মধ্যে স্বস্তি ফেরে। ১০ আগস্ট সকালে রোগীে নিজে হাতে টিফিন খান। রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা দীপঙ্কর মাজি বলেন, “রোগীর দায় এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। তা না করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল দায়িত্ব নিয়ে রোগীর রোগীর চিকিৎসায় গুরুত্ব দিয়েছে। টেলি কনফারেন্স এর মাধ্যমে অন্যান্য চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে রোগীকে সুস্থ করেছে। মুমূর্ষু করে রোগীকে সুস্থ করে তোলার এমন নজির গড়ল নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এই সাহসিকতা অন্যান্য হাসপাতালকে চিকিৎসায় উৎসাহিত করবে।”

No comments