Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রেকিং!! জন্মদিন টা উপলক্ষ! ভিতরে রয়েছে অন্য রহস্য, প্রকাশ্য ১৭ ই আগস্ট কি হতে চলছে

জন্মদিন টা উপলক্ষ! ভিতরে রয়েছে অন্য রহস্য, প্রকাশ্য ১৭ ই আগস্ট কি হতে চলছেজন্মদিন কে নিয়ে ঘরের  মধ্যে গৃহযুদ্ধ
প্রয়াত তমালিকা পন্ডা শেঠ ৬৭তম জন্মদিন পালিত হল হলদিয়া একনামি হোটেলে (হলদিয়ায় জন্মদিনের অনুষ্ঠান ভিডিও দেখতে ক্লিক…

 


জন্মদিন টা উপলক্ষ! ভিতরে রয়েছে অন্য রহস্য, প্রকাশ্য ১৭ ই আগস্ট কি হতে চলছে

জন্মদিন কে নিয়ে ঘরের  মধ্যে গৃহযুদ্ধ


প্রয়াত তমালিকা পন্ডা শেঠ ৬৭তম জন্মদিন পালিত হল হলদিয়া একনামি হোটেলে 

(হলদিয়ায় জন্মদিনের অনুষ্ঠান ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

https://youtu.be/QyEyMtsw06U)


আপনজন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, প্রাক্তন বিধায়ক,  হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কবি তমালিকা পণ্ডাশেঠের জন্মদিন পালনের দুটি অনুষ্ঠান এবং একাধিক প্রশ্ন। তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে শেঠ পরিবার শুধু দ্বিধাবিভক্ত নয়, শেঠ সাম্রাজ্যের(ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব রিসার্চ এন্ড এডুকেশন সংক্ষেপে আইকেয়ার) দখলদারি নিয়ে শুরু হয়েছে লড়াই। একই পরিবারের দুটি অনুষ্ঠানকে কার্যত সাইক্লোনের পূর্বাভাস বলেই দেখছেন হলদিয়াবাসী।


শেঠ পরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আইকেয়ার পরিবারের কর্মীবর্গের মধ্যেও দুশ্চিন্তার কালো মেঘ উঁকি দিচ্ছে।



গত ৬ আগস্ট হলদিয়ার হোটেলে তমালিকার জন্মদিন আয়োজন করেন দুই পুত্র এবং পুত্রবধূ ও কয়েকজন আত্মীয়। উপস্থিত ছিলেন বহু শুভাকাঙ্খী।

(কলিকাতার ভাষা ও ভবনের অনুষ্ঠান ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

https://youtu.be/LTMs-WwzFm4)

এছাড়া ছিলেন হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর  আজিজুল রহমান, প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপক পন্ডা।  দুই শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আমন্ত্রিত।

গত কয়েক বছর ধরে তমালিকাদেবীর জন্মদিন পালিত হচ্ছে কলিকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারের 'ভাষা ভবনে'।

এ বছর কী এমন হল দু'টি আলাদা জায়গায় জন্মদিন পালন করা হলো শেঠ পরিবারের পক্ষ থেকে। 

পরিবার ভাগ হয়ে গেল। একদিকে প্রয়াত তমালিকা পণ্ডাশেঠের স্বামী প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক এবং আইকেয়ারের চেয়ারম্যান ড. লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ কলকাতার ভাষাভবনে নামী কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন।

অন্যদিকে, তমালিকার পুত্র পুত্রবধূরা আর একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান করলেন হলদিয়ায়।

মাঝখান থেকে আপনজন পত্রিকার কর্মচারী, আইকেয়ার সংস্থা এবং তার বেশ কিছু শুভানুধ্যায়ী দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়লেন। আপনজন পত্রিকার সম্পাদক স্বত্বাধিকারী পালন করছেন হলদিয়াতে। আপনজন পত্রিকা এবং হলদিয়া আইকেয়ার নামক একটি সংস্থার উদ্যোগে কলকাতায় তমালিকা পণ্ডাশেঠের  জন্মদিন পালন করেন তাঁর স্বামী ড. লক্ষ্মণ শেঠ। দুটি অনুষ্ঠান একটি বড় ধাঁধার জন্ম দিল সবার মনে।

তমালিকার দুই পুত্র এবং পুত্রবধূদ্বয়ও আইকেয়ার সংস্থার বোর্ড সদস্য রয়েছেন।

যদিও আইকেয়ার সম্পাদক আশীষ লাহিড়ী একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন যে হলদিয়ায় আইকারের কোন প্রেস মিট করা হচ্ছে না। এ নিয়েও সংবাদমাধ্যমে মধ্যে চলে বিভ্রান্তি।

মায়ের জন্মদিন পালন করছেন ছেলে বৌমা নাতি-নাতনি অসুবিধা কোথায় ? তাহলে কী পরিবারের সঙ্গে ড.লক্ষ্মণ শেঠ আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

যদিও ছোট বৌমা সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাবা, সাংসদ বিধায়ক এবং আইকেয়ারের চেয়ারম্যান থাকার জন্য আমাদের কোনও কথাই শোনেন না। এদিকে, তমালিকার মৃত্যুর প্রায় লক্ষ্মণ ৭বছর পর হঠাৎই দ্বিতীয় জীবনসঙ্গিনী বেছে নেওয়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। মূলত, সেই ক্ষোভ এবং অভিমান থেকেই সেই প্রয়াত কবি তমালিকা পণ্ডাশেঠের জন্মদিন লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে না করে তাঁর ছেলে বৌমারা আলাদা অনুষ্ঠান করলেন। এই ঘটনাকে ঘিরে এখন নয়া গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন  এমন হল? অনেকেরই মত, লক্ষ্মণ শেঠ আগের চেয়ে এখন অনেক উদ্যত।তিনি যা বলেন সেটাই ঠিক, বাকিরা সব ভুল। সম্প্রতি লক্ষ্মণ  ৭৫ বছর বয়সে প্রায় তিরিশ বছরের নামী গ্রুপের হোটেলের এক পদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সেই জন্যই কি এই গৃহযুদ্ধ?

জানা গিয়েছে, গৃহযুদ্ধের আঁচ লেগেছে আইকেয়ারে। আগামী ১৭ আগস্ট আইকেয়ারের বোর্ড সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা রয়েছে। ওই সভায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটতে চলেছে। লক্ষ্মণকে বিপাকে ফেলতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই সভা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে হলদিয়া জুড়ে। এদিকে আইকেয়ারের বোর্ডে সিপিএমের এক জেলা কমিটির সদস্য কোন পক্ষ নেন তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। 

তুমুল গৃহযুদ্ধের আবহেই আগামী ১৮ আগস্ট কলকাতা এক নাম  করা হোটেলেই লক্ষ্মণ শেঠের দ্বিতীয় সহধর্মিনী শুভাগমন ও বৌভাত(রিসেপশন) অনুষ্ঠান  হবে। আগামী ২৭ আগস্ট  হলদিয়ার একটি হোটেলে হবে সেই  অনুষ্ঠান। এই ঘটনায় কোথাও তাঁর ছেলে বৌমারা কী লোকলজ্জায় পড়বেন না ?

যদিও বিয়েটা এখন ফ্যাশন, বয়সটা কেবলমাত্র সংখ্যামাত্র। অনেক কবি সাহিত্যিক বিজ্ঞানীরাও অনেক বেশি বয়সে বিয়ে করেছেন। তাহলে ডঃ লক্ষ্মণ শেঠের বিয়েকে নিয়ে কেন এত হাসাহাসি?




No comments