বীরভূমে রামপুরহাটে হাওড়া জয়নগর এক্সপ্রেসের বিপত্তিরেড সিগন্যাল ছাড়িয়ে ছুটল ট্রেন, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেসেরমঙ্গলবার বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল আপ হাওড়া জয়নগর এক্সপ্রেস। যাত্রীদের অভিযোগ, রাম…
বীরভূমে রামপুরহাটে হাওড়া জয়নগর এক্সপ্রেসের বিপত্তি
রেড সিগন্যাল ছাড়িয়ে ছুটল ট্রেন, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেসের
মঙ্গলবার বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল আপ হাওড়া জয়নগর এক্সপ্রেস। যাত্রীদের অভিযোগ, রামপুরহাটের মার্শাল ইয়ার্ডের কাছে রেড সিগন্যাল অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যায় ট্রেনটি। বিপদ বুঝে গার্ডের তৎপরতায় ট্রেন থামিয়ে কিছুটা পিছিয়ে আনা হয়। খবর পেয়ে রেল কর্তারা এসে চালককে ট্রেন থেকে নামিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পরে অন্য চালক এসে পৌঁছলে ট্রেনটি পরবর্তী ষ্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয়। ঘটনার জেরে প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে। চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ওই চালককে নামিয়ে দেওয়া হয়। অন্য চালককে দিয়ে ট্রেনটি যাত্রা করানো হয়। কী কারণে ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩০৩১ আপ জয়নগর-হাওড়া ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ রামপুরহাট স্টেশনে ঢোকে। চালক পরিবর্তন করে মিনিট আটেক পর ট্রেনটি পরবর্তী স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ওই ট্রেন ধরে মুরারই ফিরছিলেন – রামপুরহাট এসডিও অফিসের কর্মী নমন বাসার রামপুরহাট আদালতের আইনজীবী রাকিবুল ইসলাম তাদের অভিযোগ ,
রামপুরহাট স্টেশন ছেড়ে মার্শাল ইয়ার্ডের কাছে ট্রেনটি হঠাৎ দাঁড়িয়েই পড়ে । কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ট্রেনটি কিছুটা পিছিয়ে আনা হয়। কিছু বুঝতে না পেরে রামপুরহাট স্টেশনে এক অফিসার কে ফোন করি তিনি জানান যাত্রীদের জীবনে কোন দাম নেই ? তাদের অভিযোগ চালক মধ্যব্য অবস্থায় ছিলেন বলেই তাকে মেডিকেল করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় পৌনে দু'ঘণ্টার পর অন্য চালক এসে পৌঁছলে ট্রেনটি পরবর্তী স্টেশনে উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন স্বাধীনপুর স্টেশনে চালকের ভুলে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় আপ হাওড়া- নগর এক্সপ্রেস।
ওইদিন রেড সিগন্যাল থাকার পরেও স্বাধীনপুরের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ট্রেনটি স্বাধীনপুর স্টেশন ছাড়িয়ে মাঝের লাইনে ওঠার কথা। কিন্তু ওই লাইন দিয়ে আপ শতাব্দী এক্সপ্রেসের থ্রু পাস সিগন্যাল দেওয়া ছিল। নিত্যযাত্রীরা দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে চিৎকার করলে গার্ড ব্রেক কষে দেন। তা না হলে ওইদিন বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারত। যাত্রীরা চালকদের নিজের কাজে নিষ্ঠাবান ও মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
No comments