বর্ষায় রাস্তা যেন পুকুর! হলদিয়ায় মেরামতের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিয়া: রাস্তার মাঝে হাঁটু সমান গর্ত। তা আবার ছোটখাটো নয়। বর্ষায় ঠিক ডোবার আকার নিয়েছে। রাস্তা আর পাশে থাকা নালা কোথায়, তা বোঝা মুশকিল। তবে এই হাঁটু সমান জল …
বর্ষায় রাস্তা যেন পুকুর! হলদিয়ায় মেরামতের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিয়া: রাস্তার মাঝে হাঁটু সমান গর্ত। তা আবার ছোটখাটো নয়। বর্ষায় ঠিক ডোবার আকার নিয়েছে। রাস্তা আর পাশে থাকা নালা কোথায়, তা বোঝা মুশকিল। তবে এই হাঁটু সমান জল ঘেঁটেই স্থানীয় গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের ৩-৪ কিলোমিটার দূরে স্কুলে যেতে হয়। হলদিয়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকুরখালি হনুমান মন্দির থেকে রামনগর বাঁশতলা পর্যন্ত এক কিলোমিটার লম্বা রাস্তার এমনই বেহাল দশা। অভিযোগ, দীর্ঘ দশ বছর ধরে ওই রাস্তা মেরামত করা হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
হলদিয়া পুরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে মানাকসিয়া কারখানা ঘেঁষা ওই রাস্তা হলদিয়া ডেভেলপমেন্টঅথরিটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। স্থানীয় ঝিকুরখালি, শালুকখালি, রূপনারায়ণচক, বানেশ্বরচক, ভূঁইয়ারায়চক, রামনগর-সহ বহু গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় মানাকসিয়া, মডার্ণ কনকাস্ট, হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড-সহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছতে এই রাস্তাই ব্যবহার করেন। স্থানীয় গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা তিন কিলোমিটার দূরে থাকা রাজা রামমোহন শিক্ষা নিকেতন, জয়নগর হাই স্কুল, মাদার টেরেসা হাই স্কুল-সহ বেশকিছু স্কুলে যাওয়ার জন্য শর্ট রুট হিসেবে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া- আসা করে। গ্রামবাসীদের পাশাপাশি সেই স্কুল পড়ুয়াদের একটি বড় অংশ বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে সরব। বর্ষায় রাস্তা যেন ডোবা হয়েছে। ইতিমধ্যে সমস্যা তুলে ধরে কাজ হচ্ছে। অথচ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে তাঁরা মেরামতের দাবি তুলেছে। স্থানীয় স্কুল ছাত্রী মণীষা পারভিন জানান, “মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা। কিন্তু আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা ধরে আমরা স্কুলে যাই । কিন্তু এখন খানা-খন্দে ভর্তি। রাস্তায় বড়-বড় গর্ত। অর্ধেক রাস্তা ডুবে থাকে। স্কুলে যাওয়া-আসা সত্যিই কষ্টের ব্যাপার।”
স্থানীয় বাসিন্দা ছাত্র শোভন বলিদা, সেইদুর রহমান, তন্ময় মণ্ডল-সহ ৮৩ জন পড়য়া হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা আকতার আলি জানান, “হলদিয়ায় এত উন্নয়নের হবে।”
আমরা এলাকার মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা সারাইয়ের আবেদন জানিয়ে আসছি এইচডিএকে । কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিদিন হাজার তিনেক মানুষ যাতায়াত করেন। রাস্তাটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কবে মেরামত হবে কেউ বলতে পারছেন না। ফলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।” তবে বেহাল রাস্তার বিষয়টি এইচডিএরনজরে রয়েছে। এলাকার মানুষের কথা ভেবে তা মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন এইচডিএর সিইও কোহাম সুধীর। তিনি বলেন, “এখন বর্ষাকাল। রাস্তা মেরামতে কাজের সমস্যা হবে। বর্ষার শেষে নিশ্চিত মেরামত করা
No comments