চুরি হয়ে যাচ্ছে পন্য বোঝাই ট্রাক চিন্তায় পুলিশহলদিয়া থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়ার পথে চুরি হয়ে যাচ্ছে পণ্য বোঝাই ট্রাক। সম্প্রতি এই ধরনের একাধিক অভিযোগ সামনে আসায় নড়ে চড়ে বসেছে শিল্পশহরের পুলিশ-প্রশাসন।বিষয়টি নিয়ে দিন তিনেক আ…
চুরি হয়ে যাচ্ছে পন্য বোঝাই ট্রাক চিন্তায় পুলিশ
হলদিয়া থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়ার পথে চুরি হয়ে যাচ্ছে পণ্য বোঝাই ট্রাক। সম্প্রতি এই ধরনের একাধিক অভিযোগ সামনে আসায় নড়ে চড়ে বসেছে শিল্পশহরের পুলিশ-প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে দিন তিনেক আগে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে। বৈঠকে হলদিয়া থানার আইসি-সহ শিল্প তালুকের অন্যান্য থানার ওসিরাও উপস্থিত ছিলেন। রাহুল পান্ডে জানান, বিভিন্ন শিল্পসংস্থা নথিভুক্ত ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ভিন্ন রাজ্যে পণ্য পাঠান। দেখা যাচ্ছে সেই পণ্যবোঝাই গাড়ি মাঝপথে উধাও হয়ে যাচ্ছে। হদিস মিলছে না গাড়ি-সহ পণ্যর।
এর ফলে বিভিন্ন শিল্পসংস্থার ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে, ট্রান্সপোর্টাররা দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে শিল্প সংস্থাগুলির অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
একটি শিল্প সংস্থার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পণ্যের সাথে জিপিএস লাগানোর পরেও মাঝপথে হারিয়ে যাচ্ছে গাড়ি। বাংলার সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার পরে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে ট্রাক কোথায় আছে তার হদিস করতেই কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। সম্প্রতি এই ধরনের বড় ধরনের ঘটনা ঘটেছে হলদিয়ায়। একটি ব্যাটারি কারখানার কয়েক লক্ষ টাকার ব্যাটারি বোঝাই ট্রাক অসমে যাচ্ছিল। মাঝপথে হারিয়ে যায় সেই ট্রাক। গত কয়েক মাসে এই ভাবেই স্টিম কয়লা বোঝাই ট্রাক, ভোজ্য তেল বোঝাই ট্রাক হাইজ্যাকের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রান্সপোর্টাররা এ ক্ষেত্রে তাদের দায় এডাচ্ছে। এমনকী তারা ভিন রাজ্যের ট্রাক বুকিং করছে। সেইসব গাড়ি বা ট্রাক আবার ভাড়া করা হচ্ছে দালালদের মাধ্যমে খোলা বাজার থেকে। সে ক্ষেত্রে চালক বা খালাসির পরিচয়পত্র অনেক সময় ভুয়ো থাকছে। ফলে গাড়ি চুরি হলে ঠিক কোন জায়গায় ওই ঘটনা ঘটেছে তা বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিল্প সংস্থাগুলির আধিকারিকদের ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পণ্য পরিবহণে যুক্ত ট্রাক, ট্রাকমালিক, ড্রাইভারদের একটি ডেটাবেস তৈরি করতে হবে। না হলে হারিয়ে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়ির সন্ধান পাওয়া সহজ হবে না।হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পান্ডে বলেন, “এই ধরনের অপরাধের কিনারায় বা অপরাধ কমাতে প্রযুক্তির ব্যবহার কী ভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
No comments