ভোটে দাদা ও ভাইয়ের মল্লযুদ্ধ দেখতে মুখিয়ে রয়েছে হলদিয়ার ব্রজলালচক গ্রামপঞ্চায়েত ভোটে দাদা ও ভাইয়ের মল্লযুদ্ধ দেখতে মুখিয়ে রয়েছে হলদিয়ার ব্রজলালচক গ্রাম। মজার বিষয় হল, দু'জনেই দলবদলু প্রার্থী। ভোট এলেই তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে…
ভোটে দাদা ও ভাইয়ের মল্লযুদ্ধ দেখতে মুখিয়ে রয়েছে হলদিয়ার ব্রজলালচক গ্রাম
পঞ্চায়েত ভোটে দাদা ও ভাইয়ের মল্লযুদ্ধ দেখতে মুখিয়ে রয়েছে হলদিয়ার ব্রজলালচক গ্রাম। মজার বিষয় হল, দু'জনেই দলবদলু প্রার্থী। ভোট এলেই তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে দল বদলে লড়াই করেন। ভাই দল বদলে তৃণমূলে যেতেই দাদা সেখান থেকে যোগ দেন বিজেপিতে। কারণ, ভাইয়ের কাছে ভোটে গো-হারা হওয়ার গ্লানি ভুলতে পারেননি। ফের ১০বছর পর ভাইকে মোক্ষম জবাব দিতে এবার ভোটের ময়দানে দাদা। ভাই মিহির দাস হলদিয়ার চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪৯ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী। পেশায় শিক্ষক মিহির এনিয়ে চতুর্থবার ভোটের ময়দানে। অন্যদিকে, ভাই দিলীপ দাস ওই বুথে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী। ব্যবসায়ী দিলীপ এনিয়ে দ্বিতীয়বার ভোটে লড়াই করছেন। মিহির ও দিলীপ দু'জনে খুড়তুতো-জ্যেঠতুতো ভাই। পারিবারিক সম্পর্ক ভাল হলেও ভোটের ময়দানে রেষারেষি তুঙ্গে। ২০০৩ সাল থেকে সিপিএমের হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই শুরু মিহিরের। ব্রজলালচকে ২০০৩ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পর পর তিন বার জিতে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে হ্যাট্রিক করেন।
২০১৩ সালে মিহিরের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন তাঁর দাদা দিলীপ। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিহির এলাকায় জনপ্রিয়তার কারণে প্রবল তৃণমূলী হাওয়ার বিরুদ্ধে জয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মিহির। রাজনীতিতে বরাবরই দাদা দিলীপ ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি তখন যোগ দেন বিজেপিতে। ১০বছর পর এবার হারের বদলা নিতে তৃণমূল প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী দাদা। ব্রজলালচকের ওই বুথে প্রায় ১৪০০ ভোটার রয়েছেন। হাতের তালুর মতো চেনা এলাকাও এবার মিহিরের কাছে খানিকটা অচেনা ঠেকছে ভোট ভাগাভাগির জটিল অঙ্কে। তৃণমূল বনাম বিজেপির মুখ্য লড়াই হলেও ভোট ময়দানে বামেরা ছাড়াও একাধিক নির্দল প্রার্থী হিসেব গুলিয়ে দিচ্ছে দাদা-ভাই দু'জনেরই। মিহির বলেন, চেনা এলাকায় লড়াই হলেও সতর্ক রয়েছি। পুরসভা লাগোয়া গ্রামীণ এলাকায় হওয়ায় শহরের মতো বাড়ি পর্যন্ত কংক্রিটের রাস্তা ও বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের জলই এবার মুখ্য চাহিদা। অন্যদিকে, দিলীপের বক্তব্য, সিপিএম থেকে জিতে মিহির তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি মানুষ ভাল চোখে নেয়নি। এবার ১০বছর পর আবার ভোটের ময়দানে নেমে সংখ্যালঘু এলাকায় গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছে।
No comments