Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিক্ষুব্ধ নেতাকে বহিস্কৃত জয়ী হতেই দলে ঠাঁই

বহিষ্কৃত নেতাকে পুনরায় দলে যোগদান
বিক্ষুব্ধ নেতাকে বহিস্কৃত জয়ী হতেই দলে ঠাঁই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দলের টিকিট না পেয়ে অনেকেই নির্দল বিক্ষুব্ধ হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদেরকে ঘটা করেই দলের সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক কর…

 



বহিষ্কৃত নেতাকে পুনরায় দলে যোগদান


বিক্ষুব্ধ নেতাকে বহিস্কৃত জয়ী হতেই দলে ঠাঁই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দলের টিকিট না পেয়ে অনেকেই নির্দল বিক্ষুব্ধ হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদেরকে ঘটা করেই দলের সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করেই বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবার দলের কথা মেনে নিয়ে অনেকেই নির্বাচন থেকে দূরে  দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেউ মাইকে প্রচার করেছিলেন কেউ হ্যান্ডবিল দিও প্রচার করেছিলেন।পূর্ব মেদনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকে দুই নির্দল প্রার্থী সুভাষ দলুই ঘোষপুর,

শেখ ফরিদুল ইসলাম রাধা বল্লভচক নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। ভোট পর্ব মিটতেই সেই দু'জনকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন কুমার মহাপাত্র তমলুকে বিধায়ক অফিসেই তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিলেন এবং তাদের  উপর থেকে সাসপেন্ড তুলে পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করলেন।


পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে দাপট বজায় রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে শাসক দল। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতেও সাফল্য এসেছে। প্রায় ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়েছে। আপাতত সেইসব জায়গায় বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন জোগাড়ে ঝাঁপিয়েছে শাসক দল। বুধবার পাঁশকুড়ার ঘোষপুর ও রাধাবল্লভচক গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জয়ী দুই ঩নির্দল সদস্য যথাক্রমে ফরিদুল ইসলাম ও সুভাষ দোলুই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র তাঁদের দলে ফেরান। তিনি বলেন, নির্দল প্রার্থীরা জেতার পরই দলে ফেরার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেজন্য তাঁদের উপর থেকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রত্যাহার করে দলে ফেরানো হল।

পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের মোট আসন ৭০টি। তারমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৫৬টিতে জয়ী হয়েছে। বিজেপি ১৪টি আসন পেয়েছে। বিদায়ী বোর্ডের সভাধিপতি তথা বিধায়ক উত্তম বারিক জয়ী হয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির দখলে চলে যাওয়া খেজুরি থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত তিনি জয়ী হলেন। 

এছাড়াও উল্লেখযোগ্য জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে আছেন তরুণকুমার জানা। গত বিধানসভা ভোট তিনি উত্তর কাঁথি আসনে হেরে যান। দল তাঁর প্রতি ভরসা রেখে জেলা পরিষদে প্রার্থী করেছিল। তিনি জয়ী হয়েছেন। কাঁথি-১ ব্লক থেকে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি শেখ আনোয়ারউদ্দিন জয়ী হয়েছেন। বিদায়ী বোর্ডের তিনজন মহিলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে এবার জেলা পরিষদে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। চণ্ডীপুর থেকে অপর্ণা ভট্টাচার্য, ময়না থেকে অভয়া দাস এবং রামনগর-১ ব্লক থেকে শম্পা মহাপাত্র জয়ী হয়েছেন। 

জেলা পরিষদে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক ও সভাধিপতি রণজিৎ মণ্ডল, প্রাক্তন সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল। এছাড়া, শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ হাজরা, দলের চণ্ডীপুর ব্লক সভাপতি স্নেহাংশুশেখর পণ্ডিত এবং নন্দকুমার থেকে দলের দাপুটে নেতা প্রদীপ দে পরাজিত হয়েছেন।

২৫টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৬৬৫টি। তারমধ্যে তৃণমূল ৪২৩টিতে জয়ী হয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ২৩৪টি। সিপিএম চারটি, কংগ্রেস দু’টি ও অন্যান্য একটি আসনে জয়ী। ২৫টির মধ্যে ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ও বিজেপি চারটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। জেলায় মোট ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ১৩৭টিতে এককভাবে বোর্ড গড়তে চলেছে। বিজেপি পেয়েছে ৬১টি পঞ্চায়েত। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে জেলার একমাত্র কোলাঘাটের সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতটি। ২৪টি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু রয়েছে।

সিপিএম একটি পঞ্চায়েতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে, গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০৫টি আসনে জয়ী হয়েছেন। ১০টির বেশি আসনে সিপিএম বোর্ড গঠনে ফ্যাক্টর হবে। এক্ষেত্রে দলের অবস্থান কী? এই প্রশ্নে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ থাকব। বোর্ড গঠনে বিজেপি বা তৃণমূল কাউকে সমর্থন করব না।



No comments