নির্বাচনের দিনে বাড়ি ভাঙচুর প্রার্থীর, সান্ত্বনা মিলল জয়ে
দলেরই প্রাক্তন নেতাকে হারিয়ে কিস্তিমাত করলেন হলদিয়ার 'অভিষেক'। এবারে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন একদা দলেরই প্রাক্তন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময়…
নির্বাচনের দিনে বাড়ি ভাঙচুর প্রার্থীর, সান্ত্বনা মিলল জয়ে
দলেরই প্রাক্তন নেতাকে হারিয়ে কিস্তিমাত করলেন হলদিয়ার 'অভিষেক'। এবারে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন একদা দলেরই প্রাক্তন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীর বিরুদ্ধে। ২০২১-এ বিজেপিতে যোগ দিলেও এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব আনন্দময়ের। তার ওপর দাঁড়িয়েছিলেন নিজেরই জয়ী হওয়া আসন থেকে। সুতরাং লড়াইটা বেশ কঠিনই ছিল। কিন্তু শেষ অবধি জিতেই গেলেন অভিষেক দাস।
এক সময় তৃণমূলের যুব সংগঠনের সুতাহাটা ব্লক সভাপতি থেকে জেলায় যুব সভাপতি হয়েছিলেন অভিষেক। তারপর সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। দলের কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ এই প্রাথমিক শিক্ষকের। দলের আর পাঁচজন নেতার তুলনায় তাঁর অনাড়ম্বর জীবন ও সদালাপী চরিত্রই তাঁকে প্রিয় করে তুলেছে সাধারণ মানুষের কাছে। এমনটাই দাবি দলীয় কর্মীদের। আর জয়ের উৎসও সেটাই, বলছেন এলাকার মানুষ।
ভোটের দিন হঠাৎই তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির মানুষকে কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপিরই একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন সকালের ওই ঘটনা ওই আসনে দলের জয়ের সামান্যতম সম্ভাবনাকেও শেষ করে দেয়। মানুষের সহানুভূতির ঝড়ে উড়ে যান অভিষেক দাসের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আনন্দময় অধিকারী। বিজেপি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, কিছু কর্মীকে তৃণমূলের অনুগত নেতারা উসকে দিয়ে ওই যুবনেতার বাড়ি ভাঙচুর করতে পাঠিয়েছিলেন। সেই জন্যই ভরাডুবি ঘটেছে। এক বিজেপি কর্মীর কথায়, “অভিষেক দাসের বাড়ি ভাঙচুর করাটা আমাদের বিরুদ্ধে গেল। দলেরই কিছু এমন একটা পরিবেশ তৈরি করল তাতে পরিবেশ তৃণমূলের অনুকূলে চলে গেল।”বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য তৃণমূল থেকে আসা আনন্দময় অধিকারী কে জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিজেপির তরফের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন বিজেপির আদি কর্মীরা। অনেকেই মনে করছেন, আদি বিজেপি এবং নব্য বিজেপিদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির ভরাডুবি ঘটেছে।
যদিও দলে এ হেন কোন্দলের তত্ত্ব উড়িয়ে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, “এখানে আদি এবং নব্য বিজেপির কোনও মতপার্থক্য নেই। শাসক দল ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করেছে। মানুষের মধ্যে সেই আতঙ্ক কাজ করেছে। যেখানে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ওই বুথে বিজেপি ভাল ফল করেছে।”
আর জেলা পরিষদে জয়ী হয়ে অভিষেক বলছেন, "বিজেপি সাধারণ ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছিল। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সমর্থন করে আমাকে জিতিয়েছেন। বিজেপির নেতা-কর্মীরা আমার বাড়ি পর্যন্ত ভাঙচুর করেছে। মানুষ তার জবাব দিয়েছেন ব্যালটে
No comments