Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নয়াচরের দ্বিতীয়বারের অনলাইন দরপত্র বাতিল, সংশয়ে ফিসিং হাব

নয়াচরের দ্বিতীয়বারের অনলাইন দরপত্র বাতিল, সংশয়ে ফিসিং হাবফের অনলাইন দরপত্র বাতিলে সংশয়ে ‘ফিশিং হাব’নয়াচরে 'ফিশিং হাব' গড়ার স্বপ্ন আপাতত অধরাই। বাতিল হয়ে গেল ই-দরপত্রের প্রক্রিয়া। নয়াচরে ফিশিং হাব গড়ে তোলা হবে বল…

 



নয়াচরের দ্বিতীয়বারের অনলাইন দরপত্র বাতিল, সংশয়ে ফিসিং হাব

ফের অনলাইন দরপত্র বাতিলে সংশয়ে ‘ফিশিং হাব’নয়াচরে 'ফিশিং হাব' গড়ার স্বপ্ন আপাতত অধরাই। বাতিল হয়ে গেল ই-দরপত্রের প্রক্রিয়া। নয়াচরে ফিশিং হাব গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনও একাধিক পদক্ষেপ করেছিল। ঘোষণা করা হয়েছিল, যে সব মৎস্যচাষি নয়াচরে

মাছ চাষ করতে চান তাঁদের জন্য ই-অকশনের মাধ্যমে পুকুর বণ্টন করা হবে। তার জন্য একর প্রতি ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা দিতে হবে।

এই টাকা রুই, কাতল, ভেটকি চাষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও ভেনামি চিংড়ির  ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৬৪০০ টাকা। ই-অকশনের ক্ষেত্রে কার্যত কোনও অসুবিধের কথা ইতিমধ্যে একাধিক “সমিতির তরফে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের চিংড়ির ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৬,৪০০ টাকা। 

আশা ছিল, এই পুকুরগুলি বণ্টন হয়ে গেলে সরকারের যা আয় হবে তা দিয়েই ওই এলাকার উন্নয়ন করা হবে। পরবর্তী কালে অবশ্য মৎস্যচাষিদের একাংশ এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যান। 

তারা দাবি করেন এত টাকা দিয়ে পুকুরগুলি সরকারের কাছ থেকে তাদের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।এতে আখেরে ধনী ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবেন। এই বিরোধের মধ্যেই প্রথম বার দরপত্রই জমা পড়েনি। তাই দ্বিতীয়বার টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও ন্যূনতম মূল্যের ক্ষেত্রে হেরফের করা হয়নি। দ্বিতীয়বার অকশন শুরু হওয়ার কথা ছিল ৬ জুলাই। কিন্তু এবারও সামান্য কয়েকটি দরখাস্ত জমা পড়ার ফলে এই প্রক্রিয়াটিও বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্র জানা গিয়েছে, হয়তো তৃতীয়বারের জন্য ই -অকশনের ঘোষণা হতে পারে। যদিও মৎসচাষিদের একাংশ তাঁদের অসুখের কথা ইতিমধ্যে একাধিকবার জেলা প্রশাসনের সামনে তুলে ধরেছেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। নয়া চরের মৎস্য জিবি কমিটির তরফে জানানো হয়েছে নয়াচরের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এমনইতেই মৎস্য চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তার উপর যদি এত টাকা দিয়ে পুকুর পেতে হয় তাহলে লাভ কিছুই থাকবে না। 

উল্টে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে তাই কেউই এই ই- অকশনে রাজি হচ্ছেন না। নয়া চড়ে মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতি আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন সমিতির তরফে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি বলেন খুব কম সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়া দ্বিতীয়বার ই অকশন বাতিল করা হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য ই অকশন এর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

No comments