বাড়বাসুদেবপুর গ্রামে গিয়ে জখমদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইটিইউ রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য শাসমলভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/Gp6DMbYhEtgদুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে জখম ৮জন সহকর্মী ও কয়েকজন যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন হলদিয়া…
বাড়বাসুদেবপুর গ্রামে গিয়ে জখমদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইটিইউ রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য শাসমল
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।
https://youtu.be/Gp6DMbYhEtg
দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে জখম ৮জন সহকর্মী ও কয়েকজন যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন হলদিয়ার দুঃসাহসী যুবক অভিজিৎ জানা। মাথায় চোট, তীব্র যন্ত্রণা, রক্তে ভেসে যাচ্ছে সারা শরীর। সেদিকে হুঁশ নেই অভিজিতের। মৃত্যুপুরী থেকে বাঁচতে অন্ধকার হাতড়ে ভেঙে ফেলেন এস ওয়ান কোচের কাঁচের জানালা। তারপর একাই শুরু করেন উদ্ধারকাজ। যাত্রীরা আর্তনাদ করছেন। প্রথমে মারাত্মক জখম সহকর্মীদের এক এক করে জানালা দিয়ে বের করেন। সিটের তলায় এক বন্ধুর পা ভেঙে চেপে বসে গিয়েছিল। একাই তাঁকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় উদ্ধারকারীদের নিয়ে আরও কয়েকজন বন্ধু ও যাত্রীকে উদ্ধার করেন তিনি। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা চার বন্ধু। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে সহযাত্রীদের বাঁচিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে কার্যত 'বীর'এর মর্যাদা পেলেন অভিজিৎ।
হলদিয়ার দেউলপোতা পঞ্চায়েতের বাড়বাসুদেবপুর গ্রামের রাউত পাড়া থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন ৭জন যুবক। এরা হলেন নিতাই রাউত, নিমাই রাউত, কানাই রাউত, তাপস রাউত ওরফে রাজু, মহাদেব ও প্রণবেশ রাউত এবং অভিজিৎ জানা।
অভিজিৎ ও নিতাই রাউতরা তিন ভাই বাড়ি ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পরিবারের লোকজন। অভিজিতের দাদা সুরজিৎ বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে রাত ৯টা নাগাদ যখন ভিডিও কলে কথা হয় তখন ওর মাথা থেকে সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এখন সবাইকে উদ্ধার করছি, বেশি কথা বলা যাবে না বলে কেটে দেয়। প্রতিবেশীরা বলেন, ছোট থেকেই ভীষণ সাহসী অভিজিৎ। অভিজিতের বাবা সুভাষ জানা বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনে বিসি রায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জখমদের বিনা খরচে মাথার সিটি স্ক্যান সহ সমস্ত চিকিৎসা করেছেন। এদিকে, ছেলের নিখোঁজের খবরে উদ্বিগ্ন তাপস রাউতের পরিবার। তাঁর মা লক্ষ্মী রাউত বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। বোন দীপালি ও বাবা দেবু রাউতকে সান্ত্বনা জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। এদিন খবর পেয়ে বাড়বাসুদেবপুর গ্রামে গিয়ে জখমদের সঙ্গে কথা বলেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অচিন্ত্য শাসমল।
No comments