আজকের উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনেরমাসের শুরু থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল চলতি মাসেই উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের। তবে আগামী জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশন সেখানে হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু আর দেরি নয়। চলতি মাসেই ১৫ থেকে ২৮ তারিখের…
আজকের উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের
মাসের শুরু থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল চলতি মাসেই উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের। তবে আগামী জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশন সেখানে হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু আর দেরি নয়। চলতি মাসেই ১৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে শুভদিন দেখে ত্রিকোণাকৃতি নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই প্রস্ততি চলছে জোর কদমে। রেলভবনের দিকে রাস্তা, বর্তমান সংসদ ভবনের সিংহদুয়ারের সামনে যে টিন দিয়ে ঘেরা ছিল, তা খুলে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কার্য চলায় ২০২০ সাল থেকে যা ছিল আড়ালে, এখন তা রাস্তা থেকেও দেখা যাচ্ছে। সরানো হচ্ছে ধুলো, মাটির স্তূপ। ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কাজ চলছে।
১৯২১ থেকে ছ’ বছর ধরে তৈরি হয়েছিল ‘হাউস অব পার্লামেন্ট।’ যা আজকের বৃত্তাকার সংসদ ভবন। সে সময় খরচ হয়েছিল ৮৩ লক্ষ টাকা। এডুইন ল্যুটিয়েন্স আর হার্বার্ট বেকারের নকশায় তৈরি বর্তমান ভবন। যেখানে লোকসভার কক্ষে সর্বাধিক ৫৫০ জন এমপি বসতে পারেন। আর মোদি জমানায় ১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান সংসদের লোকসভায় বসতে পারবেন মোট ১ হাজার ২৭২ জন। নতুন ভবনে কোনও সেন্ট্রাল হল নেই। তাই লোকসভা-রাজ্যসভার যৌথ অধিবেশন হবে লোকসভার কক্ষেই।
নতুন সংসদ ভবন গড়তে বাজেটের বাইরেও খরচ হয়েছে। আগে বাজেট ছিল ৯৭১ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। কোভিড কালে এভাবে টাকা খরচের সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু সে কথায় গুরুত্ব না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন সংসদ ভবনের ভিত পুজো করেছিলেন ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। ৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে ত্রিকোণাকৃতি নতুন সংসদ ভবন তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে ২৬ হাজার ৪৫ মেট্রিক টন ইস্পাত। ৬৩ হাজার ৮০৭ মেট্রিক টন সিমেন্ট। ৯ হাজার ৬৮৯ কিউবিক মিটার ফ্লাই অ্যাশ।
নতুন ভবনে লোকসভার কক্ষের সিলিং, জানলার জালির নকশা ফুটে উঠছে জাতীয় পক্ষী ময়ূরের আদলে। রাজ্যসভায় তা জাতীয় ফুল পদ্ম। লোকসভায় এমপিদের বসার জন্য হবে ৮৮৮ টি আসন। রাজ্যসভায় ৩৮৪। নতুন ভবনে রয়েছে তিন মূল দরজা। জ্ঞান দ্বার, কর্ম দ্বার এবং শক্তি দ্বার। প্রথমটির দু’পাশে থাকছে জ্ঞানের প্রতীক গার্গী আর নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্ম দ্বারের দু’পাশে কোণারকের চাকা এবং সর্দার প্যাটেল-বি আর আম্বেদকরের মুখবয়াব। শক্তি দ্বারে চাণক্য এবং গান্ধীজির লবন সত্যাগ্রহ। সবই পিতলের।
No comments