Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

১৫১ বছরে হরি মন্দিরের সংস্কার হল

১৫১ বছরে হরি মন্দিরের সংস্কার হলপূর্ব মেদিনীপুর জেলা হলদিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড শোলাট গ্রামে ঐতিহ্যবাহী হরি মন্দিরের সংস্কার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক বছর বসন্ত উৎসবে এলাকার মানুষ গ্রাম বাংলার এলাকার মানুষ মেতে উঠতেন …

 



১৫১ বছরে হরি মন্দিরের সংস্কার হল

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হলদিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড শোলাট গ্রামে ঐতিহ্যবাহী হরি মন্দিরের সংস্কার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক বছর বসন্ত উৎসবে এলাকার মানুষ গ্রাম বাংলার এলাকার মানুষ মেতে উঠতেন এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে। কোভিডের পর দুই বছর বন্ধ রয়েছে সেই মন্দির সংস্কার হলো আগামী দিনে সেই মন্দিরের  যথারীতি ঐতিহ্য মেরে পূজার চেনা হবে বলেও জানা যায়।।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ  ১৮৭২ সাল থেকে এই হরি মন্দির পূজা শুরু করেছিলেন সেই সময় কালে ৺নিশিকান্ত মিশ্র। এবং ৺শ্রীপতিচরণ দোলায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন স্বর্গীয় অনিরুদ্ধ মিশ্র এবং চিত্তরঞ্জন দোলাই সেই ধারাবাহিকতা রেখে সেই মন্দির এখনো পূজার মাঙ্গলিক কাজ চলে। হরি মন্দিরের সামনে একটি ছিল বড় বটবৃক্ষ  সেই বটবৃক্ষ টি পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে আর ওই জায়গাতেই গাছ করা যায়নি। কিন্তু মন্দির কে কেন্দ্র করে বছরের নতুন বছরের শুরুতেই বসন্ত উৎসব এবং শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ জিউর অনন্ত সজ্জা এবং গ্রামের শ্রী শ্রী শীতলা মাতা ঠাকুরানীর পূজা অর্চনা এবং অন্য ভোগের ব্যবস্থা হতো।

 সারা গ্রাম জুড়ে বসন্ত উৎসবের হোলি খেলার মেতে উঠতেন আবাল বৃদ্ধ বনিতা শোলাট গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পুজো মানেই শোলাট উত্তর দক্ষিণ পশ্চিম পল্লী এই হরি মন্দির সামনে রেখে সারা গ্রামের মানুষ মেতে উঠতেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন ক্লাব এবং পূজার জন্য বিভিন্ন কমিটি তৈরি হয়েছে। ২০০৫ সালে এই কমিটিকে বড় বাড়ি গ্রাম নিবাসী স্বর্গীয় সুধাংশু শেখর চাউলিয়া ও স্বর্গীয় ধীরেন বালা চাউলিয়া ক্লাব ও মন্দিরের জন্য জায়গা দান করেছিলেন পাড়া কমিটি নামেই ২০০৭ সাল থেকে এই ক্লাব প্রাঙ্গনে ক্লাবের কর্তৃপক্ষরা আইসিডিএস স্কুল করার জন্য  ক্লাবের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দিয়ে দেন। সেই ক্লাবেই চলছে সরকারি শিশু শিক্ষা নিকেতন। পুজো কমিটির সদস্যরা জানান হলদিয়া পৌর এলাকার ২৯ টি ওয়ার্ডের যেখানে যেখানে আইসিডিএস স্কুল চলছে সেই সকল জায়গা থেকে ভাড়া হিসেবে নেয় বহু সংস্থা। কেবলমাত্র প্রীতিসংঘের গৃহে যে স্কুলটি চলে সেই স্কুলের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এক টাকাও নেয় না।  ক্লাবের সদস্যদের লক্ষ্য যে এই এলাকার ছেলেমেয়েরা পঠন পাঠন করবে নতুন প্রজন্ম শিক্ষার আঙ্গিকে আসবে। সেজন্যই তারা নিঃস্বার্থভাবে স্কুল করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। কোভিড  চলে গেছে  আবার পুরনোর মতোই ক্লাবের পূজার্চনা করার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষরা একমত হয়েছেন। আজকের হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা সকাল থেকে পূজার্চনা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান তার সাথেই লোকসংস্কৃতির কীর্তন গান পরিবেশন হয়। হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতির কীর্তন গান শোনার জন্য বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন আর পূজা অর্চনা যাতে আগামী দিন ধারাবাহিকতা ভাবে এগিয়ে চলে তার জন্য এলাকার বহু মায়েরা উপস্থিত হয়ে নারী শক্তির জয় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলেই এগিয়ে এলেন ।

No comments