মেধাতালিকায় প্রথম দশে ১১৮ জন রাজ্যের মাধ্যমিকে দশম হলদিয়া চৈতন্যপুর বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ন্যায়শ্রী কালিন্দী
হলদিয়া বন্দরঃ শুক্রবার ৭৫ দিনের মাথায় একবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।মাধ্যমিকে পাশ…
মেধাতালিকায় প্রথম দশে ১১৮ জন রাজ্যের মাধ্যমিকে দশম হলদিয়া চৈতন্যপুর বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ন্যায়শ্রী কালিন্দী
হলদিয়া বন্দরঃ শুক্রবার ৭৫ দিনের মাথায় একবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।মাধ্যমিকে পাশের হারের নিরিখে প্রথম আবার, ৯৬.৮৬ শতাংশ পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছে জেলার মোট ১৩জন পরীক্ষার্থী।তার মধ্যে রয়েছে হলদিয়ার এক ছাত্রী।রাজ্যে দশম স্থানাধিকারী হলদিয়ার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর বাজিতপুর সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ন্যায়শ্রী কালিন্দী।তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। হলদিয়ার ব্লকের দক্ষিণচক গ্ৰামের বাসিন্দা ন্যায়শ্রী।বাবা নারায়ণ কালিন্দী পেশায় স্কুল শিক্ষক,মা গৃহবধু।পদার্থবিদ্যা প্রিয় বিষয় ওই ছাত্রীর। পড়াশোনার ফাঁকে গোয়েন্দা গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে ন্যায়শ্রী।ওই ছাত্রী জানিয়েছে ভবিষ্যতে সে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়তে চায়।স্বপ্ন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করা।
স্কুলের কাছাকাছি থাকার জন্য বেশ কয়েকবছর ধরে সুতাহাটা চৈতন্যপুরে হলদিয়া-কুকড়াহাটী রাজ্য সড়কের পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে তাঁদের গোটা পরিবার।শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে মাধ্যমিকের ফলাফল জানতে বাড়িতে বসে টিভিতে নজর রেখেছিল ন্যায়শ্রী।এরপর নিজের নাম শুনে আনন্দে মাতোয়ারা হয় ন্যায়শ্রী সহ তাঁর গোটা পরিবার।এরপরেই নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সুতাহাটা-হলদিয়া শাখার সদস্যরা বাড়িতে এসে তাকে শুভেচ্ছা জানায়।নিজের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ি ও ছাত্রীকে স্নেহের পরশ দেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ী জানান মোট পরীক্ষার্থী ১৯৩ জন তার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ৬৮৩ ,ফার্স্ট ডিভিশন ৫৪ জন, সেকেন্ড ৬৭ জন, এছাড়া সকলেই সম্মানের সহিত উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাদের সবাইকে প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ি ও সহ প্রধান শিক্ষিকা নমিতা পাত্র জীবনের বড় পরীক্ষার সাফল্য হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান।
দুপুরে স্কুলে মার্কশিট নিতে গেলে সুতাহাটার বিডিও আসিফ আনসারি পরীক্ষার মার্কশিট সহ শংসাপত্র পত্র এবং মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা তার হাতে তুলে দেয়।
No comments