Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

একই পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল হলদিয়া মহকুমা আদালত

একই পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল হলদিয়া মহকুমা আদালতমহিষাদলের কালিকাকুণ্ডু গ্রামে একই পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় শুক্রবার সাজা ঘোষণা করল হলদিয়া মহকুমা আদালত। অভিযুক্ত জগন্নাথ কুইলা ও ঝর্ণা ক…

 


একই পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল হলদিয়া মহকুমা আদালত

মহিষাদলের কালিকাকুণ্ডু গ্রামে একই পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় শুক্রবার সাজা ঘোষণা করল হলদিয়া মহকুমা আদালত। অভিযুক্ত জগন্নাথ কুইলা ও ঝর্ণা কুইলাকে আদালত  ২০বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। দীর্ঘ ৯বছর ধরে মামলা চলার পর শুক্রবার হলদিয়া আদালত রায় ঘোষণা করে। অভিযুক্তদের ২০বছরের জেল এবং ৫হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর করে জেল খাটতে হবে। হলদিয়ার অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ অঞ্জনকুমার সরকার এই রায় দিয়েছেন। তদন্তকারী পুলিস আধিকারিক সমর মিশ্র বলেন, খুনের ঘটনার পর জগন্নাথ পালিয়ে যায় এবং তার বৌদি ঝর্ণা কুইলা বাড়ি ডাকাতির গল্প ফেঁদে সবাইকে ডাকে। পরে জগন্নাথ খুনের স্বীকারোক্তি দেয় পুলিসকে। ওইদিন ঘটনার সময় ঝর্ণার সাত বছরের শিশুপুত্র সব প্রত্যক্ষ করেছিল। এছাড়া জেলে থাকা অবস্থায় ঝর্ণা তার স্বামীকে খুনের ঘটনা নিয়ে অনুতপ্ত হয়ে চিঠি দিয়েছিল। এতদিন ধরে মামলা চলার পর দোষীরা সাজা পেয়েছে এতে খুশি হয়েছি। হলদিয়া আদালতের সরকারি আইনজীবী দিলীপকুমার সী বলেন, খুনের ঘটনার পর থেকে জগন্নাথ ও ঝর্ণা দু'জনেই জেলে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা ৯বছর জেল খেটেছে। তাদের আরও ১১বছর জেল খাটতে হবে। পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল হলদিয়া মহকুমা আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪সালে ২২ফেব্রুয়ারি রাতে ওই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রতিশোধস্পৃহা থেকে অভিযুক্ত তার জ্যাঠার পরিবারের চার জনকে খুন করে বলে অভিযোগ। একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে জগন্নাথ একাই তার জ্যাঠা রামপ্রসাদ কুইলা, জ্যেঠিমা নিহারিবালা কুইলা, জ্যেঠতুতো ভাই অরুণ কুইলা এবং মামী শাশুড়ি কল্পনা মান্নাকে নৃশংসভাবে কোপায়। পরে হাসপাতালে ওই চারজনের মৃত্যু হয়। পুলিস জানিয়েছে, রামপ্রসাদবাবুর বড় ছেলের স্ত্রী ঝর্ণার সঙ্গে অভিযুক্ত জগন্নাথের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। একাধিকবার তারা ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরাও পড়ে। এনিয়ে পরিবার ও গ্রামের তরফে মিটিং করে বার বার সতর্ক করা হয়। কিন্তু ফের ঘটনার দিন রাতে ঝর্ণার ঘরে যায় জগন্নাথ। ঝর্ণার স্বামী মেচেদায় একটি বেসরকারি সংস্থায় নাইট গার্ডের কাজ করতেন। ওইদিন তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগ নেয় জগন্নাথ। ঝর্ণার শশুরমশাই জগন্নাথকে ওইদিন পাকড়াও করে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তখনই প্রতিশোধ নিতে বড় একটি তরোয়াল নিয়ে প্রথমে রামপ্রসাদবাবুকে কোপ মারে। পরে পালানোর সময় বাধা পেয়ে তার জ্যেঠিমা ও ভাইকে কোপায়। শেষে প্রত্যক্ষদর্শী মামীশাশুড়িকে আঘাত করে। ওই সময় মামীশাশুড়ি ভয়ে গোয়ালঘরে লুকিয়ে পড়েছিলেন এবং প্রাণভিক্ষাও চান। 

ভয়ংকর ঘটনার পর জগন্নাথ সুতাহাটায় তার বোনের বাড়ি পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জামাকাপড় ছেড়ে সে মেচেদায় গিয়ে ট্রেনে চেপে পালানোর সময় পরদিন সকালে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে। তদন্তকারী পুলিস আধিকারিক সমর মিশ্র বলেন, ওই ঘটনার পর জগন্নাথ পালিয়ে যায় এবং তার বৌদি ঝর্ণা বাড়ি ডাকাতির গল্প ফেঁদে সবাইকে ডাকে। পরে জগন্নাথ খুনের স্বীকারোক্তি দেয় পুলিসকে। ওইদিন ঘটনার সময় ঝর্ণার সাত বছরের শিশুপুত্র সব প্রত্যক্ষ করেছিল। এছাড়া জেলে থাকা অবস্থায় ঝর্ণা তার স্বামীকে খুনের ঘটনা নিয়ে অনুতপ্ত হয়ে চিঠি দিয়েছিল। এতদিন ধরে মামলা চলার পর দোষীরা সাজা পেয়েছে এতে খুশি হয়েছি। হলদিয়া আদালতের সরকারি আইনজীবী দিলীপকুমার সী বলেন, খুনের ঘটনার পর থেকে জগন্নাথ ও ঝর্ণা দু'জনেই জেলে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা ৯বছর জেল খেটেছে। তাদের আরও ১১বছর জেল খাটতে হবে। তবে অভিযুক্তদের সাজা নিয়ে খুশি নয় রামপ্রসাদবাবুর পরিবার।

No comments