Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ২৮ লক্ষ টাকা ঢুকল ভুয়ো ২৫ জনের অ্যাকাউন্টে

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ২৮ লক্ষ টাকা ঢুকল ভুয়ো ২৫ জনের অ্যাকাউন্টে
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা নিযুক্ত ভেন্ডারের কারচুপিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও ঠিকাদারের কাছ থেকে কাটা টিভিএসের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকার পরিমাণ প…

 



বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ২৮ লক্ষ টাকা ঢুকল ভুয়ো ২৫ জনের অ্যাকাউন্টে


বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা নিযুক্ত ভেন্ডারের কারচুপিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও ঠিকাদারের কাছ থেকে কাটা টিভিএসের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ২৮ লক্ষ। ওই টাকা এমন ২৫ জনের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে যাঁরা বিদ্যুৎ দপ্তরের গ্রাহক ও ঠিকাদারই নয়। ইনকাম ট্যাক্স অফিস থেকে এব্যাপারে চিঠি পাওয়ার পর বণ্টন সংস্থার তমলুকের রিজিওনাল এবং ডিভিশনাল অফিস তদন্ত করে। তাতে দেখা যায়, টিডিএস সংক্রান্ত কাজের


জন্য নিযুক্ত ভেন্ডার প্রশান্তকুমার বাগ এই কারচুপির সঙ্গে যুক্ত। তিনিই নাম। ও প্যান কার্ডের নম্বর বদলে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার ও ডিভিশনাল ম্যানেজার এই ঘটনায় প্রশান্তকুমার বাগের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর করেছেন। পাশাপাশি যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তাঁদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে।


তমলুক থানার তদন্তকারী অফিসার


উজ্জ্বলকুমার নস্কর


বলেন,


এফআইআর দায়ের হওয়ার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এখনও কেউ ধরা পড়েনি।


দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭


সাল থেকে বাগনানের বাসিন্দা প্রশান্তকুমার বাগকে টিডিএস সংক্রান্ত কাজের জন্য নিযুক্ত করে বণ্টন সংস্থার তমলুক ডিভিশন অফিস। ওই


একই কাজের জন্য বণ্টন সংস্থার তমলুকের রিজিওনাল অফিস তাঁকে ২০২০ সালে নিযুক্ত করে। বিদ্যুৎ রিজিওনাল বণ্টন গ্রাহকদের ডিপোজিটের সুদ ও ঠিকাদারদের পেমেন্ট থেকে টিডিএস কাটা হয়। সেইসব টিডিএস প্রদানকারীদের নাম, প্যান নম্বর সংগ্রহের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের দায়িত্ব ছিল

সিকিউরিটিওই ভেল্ডারের উপর। ১৬এ ফর্ম জমা করে টিডিএস রিটার্নের প্রয়োজনীয় দায়িত্বও তাঁর উপর দিয়েছিল বণ্টন সংস্থা। অভিযোগ, ওই ফর্ম জমা দেওয়ার সময় তিনি বিদ্যুৎ বণ্টনের দেওয়া নামের পরিবর্তে নিজের পছন্দের নাম ঢুকিয়ে দেন।

বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,গত ৭ নভেম্বর আচমকা ইনকাম ট্যাক্স বিভাগ থেকে বণ্টন সংস্থার এবং ডিভিশনাল ম্যানেজার জোড়া নোটিস পান। সেখানে বলা হয়, প্রকৃত টিডিএস হয়েছে। গ্রাহকদের পরিবর্তে বেশকিছু ভূতুড়ে নাম দেওয়া হয়েছে। সেইসব ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা ঢুকে গিয়েছে। এরমধ্যে রিজিওনাল

অফিসের পাঠানো ১৮টি অ্যাকাউন্টে ১৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৫৪ টাকা ঢুকে গিয়েছে। অপরদিকে, ডিভিশনাল অফিস থেকে পাঠানো তালিকায় সাতটি ভুয়ো নাম আছে। তাদের অ্যাকাউন্টে ১১ লক্ষ ২৫ হাজার ৪১০ টাকা ঢুকেছে।

কী ভাবে ভুয়োদের অ্যাকাউন্টে ভারত সরকারের রিটার্ন দেওয়া টাকা ঢুকে গেল, তা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। দেখা যায়, তালিকায় ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কেউ বণ্টন সংস্থার গ্রাহক বা ঠিকাদার নন। ভেন্ডারের কারচুপিতেই পুরোটা হয়েছে বলে নিশ্চিত হন তাঁরা। এরপর ওই ভেন্ডারের বিরুদ্ধে ডিভিশনাল ম্যানেজার প্রকাশ জানা ও রিজিওনাল ম্যানেজার দীপককুমার মণ্ডল তমলুক থানায় এফআইআর করেন।

রিজিওনাল ম্যানেজার বলেন, এভাবে ভেন্ডার কারচুপি করবে, তা ভাবতেই পারিনি। ভুয়ো নাম ও প্যান নম্বর ব্যবহার করে টাকা গায়েব করা আমাদের অফিসের বিশ্বাসযোগ্যতায় ধাক্কা লেগেছে। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

No comments