Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬৮৯ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি খোয়ালেন

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬৮৯ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি খোয়ালেনগত এক মাসে শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬৮৯ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি খোয়ালেন। রাজ্যের মধ্যে এই জেলাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাক…

 


পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬৮৯ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি খোয়ালেন

গত এক মাসে শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬৮৯ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি খোয়ালেন। রাজ্যের মধ্যে এই জেলাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। জেলায় মোট ১৪৩ জন গ্রুপ- সি কর্মীর চাকরি খারিজ হয়েছে। সোমবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং টিচার ইন-চার্জদের চিঠি দেওয়া হয়। তাতে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়ে অবহিত করা হয়। পাশাপাশি ওই কর্মীদের মাইনেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে, সংখ্যাটা আরও ২০ বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ন’জন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া সহ অন্যান্য জেলা থেকে আরও কয়েকজন গ্রুপ-সি কর্মী বদলি হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছেন। এরকম বদলি হয়ে আসা প্রায় ২০ জনের চাকরিও খারিজ হয়েছে। ১৪৩ জনের তালিকায় তাঁদের নাম নেই। সেই নামের তালিকা সংগ্রহ করছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অফিস।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি এক ধাক্কায় গোটা রাজ্যে ১৯১১ জনের প্রাইমারি চাকরি খারিজ হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই সর্বাধিক ৪০৬ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। শুধুমাত্র ভগবানপুর-১ ব্লকেই আছেন ৩৫ জন। গ্রুপ-ডি কর্মীদের অনেকেই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সার্ভিস সিকিউরিটির ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক তাঁদের পার্সোনাল লোন দিয়েছিল। রাতারাতি চাকরি চলে যাওয়ায় ব্যাঙ্কেরও মাথায় হাত। শুধুমাত্র তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে এরকম ৫৭ জন পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।

তাঁদের অ্যাকাউন্ট লক করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ প্রায় এক কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করেছে। বাকি চার কোটি টাকা ফেরত পেতে ৫৭ জনের বাড়ি বাড়ি নোটিস ইস্যু করেছে ব্যাঙ্ক।

গত ১ ও ৩ মার্চ দু'দফায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি গোটা রাজ্যে দু'দফায় ৬১৮ ও ১৫৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি খারিজের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। রাজ্যে মোট ৭৭৫ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়। আর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সংখ্যাটা ছিল ১৪০। ২ মার্চ জেলার ডিআই(মাধ্যমিক) অফিসে ১০৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নামের তালিকা এসে পৌঁছয়। ৪ তারিখ আরও ৩৫ জনের নামের তালিকা আসে। ওই ১৪০ জন এখন স্কুলে আসছেন না। ১ মার্চ থেকে তাঁদের মাইনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এক মাসের মধ্যে ৬৮৯ জনের চাকরি বাতিলের ঘটনা নজিরবিহীন। বহু স্কুলে একসঙ্গে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এমনিতেই স্কুলে স্কুলে শিক্ষকের সঙ্কট ছিল। তার উপর আরও ১৪০জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। অশিক্ষক কর্মীর অবস্থাও তথৈবচ। গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি মিলিয়ে সাড়ে পাঁচশো জনের চাকরি রাতারাতি বাতিল হয়। স্কুলে ঘণ্টা দেওয়া থেকে চাবি খোলা এবং ফাইলপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজটা এখন শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই সারতে হচ্ছে।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র বলেন, আমাদের জেলায় ১৪০ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। এছাড়া ৪০৬ জন গ্রুপ-ডি এবং ১৪৩ জন গ্রুপ-সি কর্মীর চাকরিও বাতিল হয়েছে। স্কুলে স্কুলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার

No comments