রাস্তা হয়নি, ফলক পোতা হয়েছে ক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের পোঁতা আছে ফলক। হয়নি রাস্তা। ক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামের ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল…
রাস্তা হয়নি, ফলক পোতা হয়েছে ক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের
পোঁতা আছে ফলক। হয়নি রাস্তা। ক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামের ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থা বলে দাবী স্থানীয় এলাকাবাসীর। বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন এবং ব্লক প্রশাসনকে ও জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকাবাসীর দাবী, বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত গোপালপুর গ্রামে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ কিছুই করেনি। পাশাপাশি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতে গোপালপুর গ্রামে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়। ফলে ওই গ্রামে রাস্তাঘাট, নিকাশি, ব্রিজ সবক্ষেত্রেই গ্রামবাসীরা বঞ্চিত। ভোট আসে, ভোট যায় শুধুই প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। বাস্তবে কোনো কিছুই গোপালপুরে কাজ হয়না। গ্রামবাসীদের দাবী অবিলম্বে রাস্তাঘাট না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। মহত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে (MGNREGS) ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে গোপালপুর গ্রামে ঢালাই রাস্তা নির্মাণের জন্য লাগানো হয়েছে ঝাঁ চকচকে ফলক। কিন্তু প্রায় ১ বছর কেটে গেলেও এখনো হয়নি রাস্তা। ঠিকাদারও রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী ( বালি, চিপস) ফেলে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সেই ভাবেই গোপালপুরে বালি চিপস পড়ে আছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ গোপালপুর গ্রামে যাওয়ার একটি রাস্তা আছে। অথচ এখনো পর্যন্ত কোনো রাস্তার কাজ হয়নি। ওই গ্রামের মহিলাদের দাবী, বিজেপি করার অপরাধে স্থানীয় পঞ্চায়েত রাস্তাঘাট করছে না। আমরা সবকিছু থেকে বঞ্চিত রয়েছি। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান যোগেন্দ্র নাথ মাইতি জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকার অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা কোনো কিছু কাজ করতে পারছি না। আমরা পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে মিলে মিশে একসঙ্গে কাজ করি। তবে বিজেপির করার অপরাধে পঞ্চায়েত রাস্তা ঘাট করছে না এমন টা ঠিক নয়। তবে কবে হবে রাস্তাঘাট! সেদিকেই তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধছে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা।
No comments