Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

এগরা গ্রামে হাজির "দিদির দূত"

এগরা গ্রামে হাজির "দিদির দূত"
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুনভাবে জনসংযোগ করতে গ্রামে গ্রামে হাজির ঘাসফুল নেতারা। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের একইঞ্চিও জমি ছা…

 


এগরা গ্রামে হাজির "দিদির দূত"


ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুনভাবে জনসংযোগ করতে গ্রামে গ্রামে হাজির ঘাসফুল নেতারা। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের একইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এবার 'দিদির দূত' কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে 'অঞ্চলে একদিন' পালন করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা বিধানসভার  বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কর্মসূচি পালনে মাঠে-ময়দানে নেমে পড়ছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে গেলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি ও এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। এদিন প্রথমে নেগুয়াতে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন স্থানীয় বিধায়ক। তারপর রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা খোঁজ খবর নেন স্থানীয় বিধায়ক। এরপরে রামন্দ্রপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। সেখানে হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি হাসপাতালের রোগীদের ফলমূল বিতরণ করেন। সেইসঙ্গে সেখানে চিকিৎসক ও রোগী-সহ পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। সাধারণ মানুষের অভাব - অভিযোগও শোনেন। পাশাপাশি নেগুয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। তারপরে ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাপুর বাজারে সাংগঠনিক সভারও আয়োজন করা হয়। এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি জানিয়েছেন, "গত ২ রা জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন "দিদি সুরক্ষা কবচ" কর্মসূচি পালনের জন্য। দ্বিতীয়  পর্যায়ের 'অঞ্চলে একদিন'  কর্মসূচি শুরু করলাম। এই কর্মসূচি দু'টি পর্বে চলবে। প্রথমে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সাংসদ ও বিধায়ক যাবেন। তারা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রাত্রি যাপন করবেন। এরকম করে ৭ দফা কর্মসূচি পালন হবে।" উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি। কর্মসূচিতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাবেন 'দিদির দূত'রা। গ্রামে-গ্রামে ঘুরে শুনবেন মানুষের কথা। মানুষ যা পেয়েছেন সেটা যেমন লেখা হবে, তেমন না পাওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। তৈরি করা হবে লিস্ট। দলের কর্মীর বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে হবে রাতের খাবার। প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি কোলকাতার নজরুল মঞ্চে 'দিদির দূত'-এর ঘোষণা করে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিদির দূত হিসাবে কাজ করবেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভভলেন্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। এই কর্মসূচি ২টো পর্যায়। প্রথম পর্যায়ে, প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্ররা ৩২০ জনের টিম তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানুয়ারির ১১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারী ২৮ অবধি ১০ রাত করে গ্রামে থাকবেন। বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ অঞ্চল রয়েছে। ১ জন ১০টা অঞ্চলে রাতে থাকেন, তবে ৩২০ জনের হিসাবে ৩ হাজার ২০০ অঞ্চলে রাত কাটানো যাবে। ৯৮ শতাংশ অঞ্চলই ঘোরা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিয় কুমার রাজ, দলের ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিজন বিহারি সাউ, ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেণুকা দাসমহাপাত্র, উপ-প্রধান যোগেন্দ্রনাথ মাইতি, দলের ব্লক আইএনটিটিইউসি'র সভাপতি বীরেন মাইতি, ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ আফতার খান, পাঁচরোল অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অশোক দাস, অর্ধেন্দু দাসমহাপাত্র প্রমুখ।

No comments