২৫ শে ডিসেম্বর রেকর্ড ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি পূর্ব মেদিনীপুরে
মরশুমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হল বড়দিনে। এক দিনেই বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মদ। আগের দিন অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর চার কোটি এক লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হ…
২৫ শে ডিসেম্বর রেকর্ড ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি পূর্ব মেদিনীপুরে
মরশুমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হল বড়দিনে। এক দিনেই বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মদ। আগের দিন অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর চার কোটি এক লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়। দু'দিনে মদ বিক্রির পরিমাণ ৯ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আবগারি দপ্তরের সুপার যতনচন্দ্র মণ্ডল বলেন, গড়পড়তা তিনদিনের বিক্রির পরিমাণ হয় ন'কোটি টাকা। সেটা দু'দিনে হয়েছে। এবছর গতবারের চেয়েও ভালো বিক্রি হয়েছে।
বড়দিনের উৎসবের দীঘা-মন্দারমণি ভিড়ে থিকথিক করছিল। কয়েক হাজার গাড়িতে চড়ে মানুষজন পিকনিক করতে দীঘাকে বেছে নিয়েছিলেন। পিকনিক করতে আসা অনেকেই পানপাত্রে চুমুক দিয়েছেন। আর সেকারণেই মরশুমের মধ্যে সর্বাধিক ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। গোটা রাজ্যে অন্য কোথাও বড়দিনে এত টাকা উপার্জন করতে পারেনি আবগারি বিভাগ। টানা ছুটির কারণে প্রবল। দীর্ঘায় ভালো ভিড় ছিল। তাই এদিনও কাউন্টারের সামনে লাইন দেখা গিয়েছে।নভেম্বর মাস থেকে মদ বিক্রির পরিমাণ খানিকটা থিতিয়ে গিয়েছিল। অক্টোবর মাসে পুজোয় হাত খুলে খরচ হয়েছে। তারপর নভেম্বর মাস হিসেব করে কাটাতে হয়। সেজন্য গোটা মাস প্রায় ‘ড্রাই’ যাচ্ছিল। ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে মেসিদের জয় সেলিব্রেট করতে আচমকা বিক্রি বেড়ে যায়। এক রাতেই ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়। তারপর বিক্রির সূচক ক্রমশ ঊর্ধমুখী হয়। ২৫ ডিসেম্বর একেবারে সর্বোচ্চ ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।
তবে, ঠান্ডার সঙ্গে সুরাপায়ীদের বিশেষ যোগ আছে। তাই বিক্রি এখনই ধপ করে নেমে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। বরং গড়পড়তা প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকার বিক্রিবাটা এক প্রকার নিশ্চিত বলে আবগারি দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন।
জেলা আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে ৯০৭ কোটি টাকার মদ বিক্রির টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। যদিও ওই সময়সীমার মধ্যে ১৩৪ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। আবগারি দপ্তরের অফিসারদের দাবি, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে আরও অন্তত আড়াইশো কোটির টাকার মদ বিক্রি হবে। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এক হাজার কোটি বিক্রির টার্গেট দিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও জেলা আবগারি দপ্তরের অফিসারদের দাবি, সেই পরিমাণ ১১০০কোটি টাকা ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
টানা তিন বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মদ বিক্রিতে রাজ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী। দ্বিতীয় স্থানে আছে পশ্চিম বর্ধমান। প্রথমের থেকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর তফাৎ একশো কোটির বেশি। দীঘা, মন্দারমণি ছাড়াও হলদিয়া, তমলুক এবং পাঁশকুড়া এলাকায় বিক্রি ধারাবাহিকভাবে ভালো। এই মুহূর্তে মোট ২৭৩টি দোকান চলছে। তমলুক শহরের রত্নালি এলাকায় একটি দোকান নিয়ে এলাকাবাসী লাগাতার বিক্ষোভ, আন্দোলন চালাচ্ছেন। তমলুক থানার পক্ষ থেকে ডিইবিকে এনিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে দোকান বন্ধের পক্ষে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে পুলিস সূত্রের খবর।
No comments