Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ফের পোস্টার বিতর্ক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

ফের পোস্টার বিতর্ক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি


 পোস্টার দিয়ে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি! আর সেই পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে জগৎপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি সহ একাধিক ব্যক্তির নাম। ঘটনাচক্রে, কয়েকদিন আগেই ওই সমবায় স…





ফের পোস্টার বিতর্ক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি



 পোস্টার দিয়ে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি! আর সেই পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে জগৎপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি সহ একাধিক ব্যক্তির নাম। ঘটনাচক্রে, কয়েকদিন আগেই ওই সমবায় সমিতির পরিচলন কমিটির নির্বাচনে হয়েছে বিজেপি।

মহিষাদল ব্লকের বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুর গ্রামে সোমবার সকালে একটি পোস্টার মেলে। তাতে ওই গ্রামের বাসিন্দা জনৈক সনাতন দাসের বাড়িতে সোমবার মদনচাঁদ জিউর ভোগের আমন্ত্রণে অন্যদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, হিসাবে উল্লেখ রয়েছে যে, সনাতন পাড়া থেকে বাদ দেওয়া ছবিলাল দাসের পরিবারকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ওই নির্দেশ আমান্য করে যাঁরা সনাতনের বাড়িতে যাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি এবং ৩০ হাজার টাকার জরিমানার কথা জানানো হয়েছে পোস্টারে। আর ওই নির্দেশ দেওয়ার তালিকায় নাম রয়েছে রঙ্গলাল কুইল্যা, বিধানচন্দ্র কুইল্যা এবং মধুসূদন মান্নার। যাঁরা যথাক্রমে জগৎপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি, সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ।
ওই পোস্টার ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ছবিলাল দাসের সঙ্গে গ্রামবাসীদের যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ হয়েছে। অভিযোগ, ছবিলালের ছেলে গ্রামে একটি অপকর্ম করেছিলেন, তাতেই গ্রামের নেতাদের ওই নিদান। পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই জগতপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচলন কমিটির নির্বাচন ছিল। সেই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তবে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল গ্রাম কমিটি পরিচালনা করে। তারাই কাজটা করেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।” যদিও ওই পোস্টার প্রসঙ্গে মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি জিতেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। বিজেপির চক্রান্ত।”
পোস্টারে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের কারও প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি। তবে ছবিলাল দাসের ছেলে এ দিন বলেন, “সনাতন দাস বাড়িতে এসে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। গ্রাম কমিটির চাপে নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ওই ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি।

No comments