স্থায়ী পদে নিয়োগের ভয়ো বিজ্ঞপ্তি ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল
স্থায়ী পদে নিয়োগের ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল নন্দকুমারে। ওই ব্লকের বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধানের হোয়াটসঅ্যাপে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তার বিষয়, এজেন্সির মা…
স্থায়ী পদে নিয়োগের ভয়ো বিজ্ঞপ্তি ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল
স্থায়ী পদে নিয়োগের ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল নন্দকুমারে। ওই ব্লকের বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধানের হোয়াটসঅ্যাপে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তার বিষয়, এজেন্সির মাধ্যমে ২৬টি ক্যাটাগরিতে গোটা রাজ্যে ২৮ হাজার ৬০০জনকে নিয়োগ। পঞ্চায়েত অফিসে ওই চিঠির কপি টাঙানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত আকর্ষণীয় মাস মাইনে! পঞ্চায়েত প্রধানরা ওই চিঠি পাওয়ার পরই বিডিও শানু বক্সির নজরে আনেন। বিডিও বিষয়টি যাচাই করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠান। তারপর জানতে পারেন, গোটাটাই জাল। একটি প্রতারকচক্র গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। ভুয়ো নিয়োগ চক্রের ফাঁদে পড়ে কেউ যাতে আর্থিক ক্ষতির শিকার না হন সেনিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানদের সতর্ক করেছেন বিডিও।
নন্দকুমারের বিডিও বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের হোয়াটস অ্যাপে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছিল। কোনওরকম মেল আসেনি। যেকোনও ধরনের নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি মেলে
আসাটাই স্বাভাবিক। তাই ওই চিঠি নিয়ে গোড়াতেই খটকা লেগেছিল। তারপর খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, এটা ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পার্টনারশিপ ফার্মের নামে গোটা রাজ্যে ২৬টি ক্যাটাগরিতে ২৮ হাজার ৬০০ পদে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, নিয়োগের ধরন স্থায়ী। যোগাযোগের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর এবং একটি মেল আইডি দেওয়া হয়েছে। ওই নম্বর নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। পদ হিসেবে ক্যাশিয়ার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, শিক্ষা উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, কৃষি উপদেষ্টা, অ্যাকাউন্টস অফিসার প্রভৃতির উল্লেখ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানরা ওই বিজ্ঞপ্তির নোটিস বোর্ডে ঝোলানোর আগে বিডিও-র নজরে আনেন। তারপরই বিষয়টি ভুয়ো বলে জানাজানি হয়। নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস বলেন, একটি ভুয়ো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে। আমরা সকলকে সতর্ক করে দিয়েছি। এর আগেও পূর্ব মেদিনীপুরে ভুয়ো নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তি ছড়ানো হয়েছিল। বেশ কয়েকজন আবেদন করে টাকা খুইয়েছিলেন। তারপর জেলা প্রশাসনের নজরে আসামাত্র জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি এফআইআর করে তদন্তের নির্দেশ দেন। তারপর নিয়োগ চক্র আড়ালে চলে যায়। এধরনের বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সময় মাথাপিছু ৬০০ থেকে ৮০০টাকা জমা করতে হয়। এভাবে বেকার যুবক-যুবতীদের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করা হয়।
সরকারি যেকোনও পদে নিয়োগের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু, ওই পার্টনারশিপ ফার্ম সেসব না করে সরাসরি হোয়াটস অ্যাপে নোটিস পাঠানো শুরু করে। প্রধানদের কাছে দু'পাতার চিঠি পৌঁছয়। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে বলে জানানো হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ধন্দ তৈরি হতেই বিডিও-র নজরে আনা হয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি জাল বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে কেউ যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য প্রধানদের সতর্ক করা হয়েছে।
No comments