Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বাতিল করা হল সৈকত উৎসব

বাতিল করা হল সৈকত উৎসব কোনও নোটিস ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হল দিঘার 'বিচ ফেস্টিভ্যাল'।দিঘা-শঙ্করপুর আসোসিয়েশনের তরফে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে বিচ ফেস্টিভ্যাল শুরুর কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতির…

 



বাতিল করা হল সৈকত উৎসব

 কোনও নোটিস ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হল দিঘার 'বিচ ফেস্টিভ্যাল'।

দিঘা-শঙ্করপুর আসোসিয়েশনের তরফে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে বিচ ফেস্টিভ্যাল শুরুর কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতির পর এবছর ফের বিচ ফেস্টিভ্যাল হচ্ছিল। একক ভাবে এর আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় হোটেল মালিকদের সংগঠন। শেষ মুহূর্তে এই উৎসব বন্ধের ঘোষণায় হতাশ পর্যটকেরা। তবে ইংরেজি বছরের শেষ কয়েকটা দিন সরকারিভাবে ওল্ড এবং নিউ দিঘায় পর্যটকদের মনোরঞ্জনে পৃথক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে। করোনা, লকডাউন কাটিয়ে ক্রমশ ছন্দে ফিরেছে সবকিছু। ইংরেজি বর্ষ বিদায় এবং বর্ষবরণ উপলক্ষে পর্যটকদের কাছে টানতে এককভাবে হোটেল মালিকদের উদ্যোগে বিচ ফেস্টিভ্যালের আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ২৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল 'সৈকত উৎসব'- এর। উৎসবে বলিউড শিল্পীদের আসার কথা ছিল। সেই সঙ্গে পর্যটকদের রসনা তৃপ্তির জন্য ইলিশ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। বিচ ফেস্টিভ্যাল করতে চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদনও

জানিয়েছিলেন হোটেল মালিকেরা। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (ডিএসডিএ) তরফে প্রয়োজনীয় জমি দেওয়া হয় বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তবে সোমবার রাতে ওল্ড দিঘার হোটেল মালিক সংগঠনের অফিসে হঠাৎই এই বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে আপাতত বিচ ভেস্টিভ্যাল বন্ধ রাখা হোক বলে অধিকাংশ হোটেল মালিক দাবি তোলেন বলে অনুষ্ঠান চলবে। সূত্রের খবর। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের সহ-সভাপতি গিরিশ রাউৎ বলেন, “অনিবার্য কারণে এবছর বিচ ফেস্টিভ্যাল বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে আগামী বছর বসন্ত উৎসবের সময় এটা করা যায় কিনা সে ব্যাপারে চিন্তা- ভাবনা করা হচ্ছে।”

করোনার আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগ এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের যৌথ আয়োজনে এই উৎসব হত দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর এবং তাজপুরে। তবে, এ বছর হোটেল মালিকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিচ ফেস্টিভ্যাল করতে জেলা প্রশাসন সেরকম আগ্রহী ছিল না। মূলত রাজকোষে ঘাটতি এবং বিচ ফেস্টিভ্যালে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় এই অনীহা ছিল বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তবে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ওল্ড দিঘার

বিশ্ববাংলা উদ্যানে লোকশিল্পীদের মাধ্যমে বাউল গানের আসর বসবে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাটেও তাঁতবস্ত্র মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এইডিএসডিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল বলেন, “বিচ ফেস্টিভ্যাল বাতিল করা। হয়েছে শুনেছি। তবে, বছরের শেষে দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের মনোরঞ্জনে ওল্ড এবং নিউ দিঘায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”

শেষ মুহূর্তে বিচ ফেস্টিভ্যাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ বহু পর্যটক। উত্তর ২৪ পরগনার ঈশ্বরীগাছার বাসিন্দা পিন্টু হাজরা বলেন, “বিচ ফেস্টিভ্যালে অনেক নামীদামি কলাকুশলী আসবেন জেনে দিঘায় হোটেল বুকিং করেছিলাম। সে সময় এমনিতেই পর্যটকদের ভিড় থাকে। তা সত্ত্বেও বাড়তি আনন্দের আশাতেই যাব বলে স্থির করেছিলাম। কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ বিচ ফেস্টিভ্যাল বাতিলের কথা জানাতে আমরাও দিঘা বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছি।”

No comments