Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদি নদীর তীরে ইসকনের মন্দির ও অতিথিশালা

হলদি নদীর তীরে ইসকনের মন্দির ও অতিথিশালা

 আধ্যাত্মিক উপাসনা, চর্চার পাশাপাশি সমাজকল্যাণ। সমাজের অসহায়, আর্তজনের সেবায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হলদিয়ায় বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু ইসকনের।রায়রাইয়াচকে হলদি নদীর কূলে এক একর জায়গা জুড়ে গ…

 




হলদি নদীর তীরে ইসকনের মন্দির ও অতিথিশালা



 আধ্যাত্মিক উপাসনা, চর্চার পাশাপাশি সমাজকল্যাণ। সমাজের অসহায়, আর্তজনের সেবায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হলদিয়ায় বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু ইসকনের।

রায়রাইয়াচকে হলদি নদীর কূলে এক একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে ইসকনের এমন কর্মক্ষেত্র। গড়ে উঠেছে উপাসনা গৃহ। যেখানে দর্শন দেবেন শ্রীরাধা, পার্থসারথি, গৌরাঙ্গ, জগন্নাথ, বলদেব এবং সুভদ্রাদেবী। তাঁদের সাজঘর, ভোগশালার পাশাপাশি রয়েছে বইঘর। গড়ে উঠবে সুদৃশ্য মন্দির। নির্মিত হবে ছয় তল বিশিষ্ট যুব আবাস, অতিথিশালা। তার আগেই ১৫, ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর,২০২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রীবিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসব। সূচি অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর বাস্তুযজ্ঞ হবে। তার পর পূর্বতন আচার্যগণের আধ্যাত্মিক অনুমতি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে হবে আচার্যজ্ঞ। শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠায় এবং মন্দির রক্ষাকল্পে হবে বিশ্বসেন (শ্রীকৃষ্ণ) পুজো। পরদিন ১৬ নভেম্বর মঙ্গলকলস স্থাপন, আরাধনা, মহাযজ্ঞের হোম, সংকল্প, নেত্র উন্মীলন বন্দারপনম (প্রার্থনা) এবং শয়ন অধিবাস। এই শয়ন অধিবাস পর্বে বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন। উৎসবের শেষ দিন ১৭ নভেম্বর হবে শ্রীবিগ্রহ জাগরণ। বিগ্রহের প্রতিটি অঙ্গ শুদ্ধিকরণে হবে 'ন্যাসদি হোম'। অদ্ভুত এই মাঙ্গলিক পর্বে মঙ্গল কলসের সঙ্গে প্রধান পুরোহিতের তাম্রসূত্র বন্ধন দেখা যাবে। মন্ত্র সহযোগে পুরোহিত তাম্রযষ্টি বিগ্রহের প্রতিটি অঙ্গে ছুঁইয়ে শুদ্ধিকরণ ঘটাবেন।

তার পরেই বহু প্রতীক্ষিত মহা- অভিষেক, যা প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে উন্নীত হবে। রাজভোগ আরতি, মহা আরতি পর্ব। দেবতাগণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ১০০১টি পদ। তার মধ্যে ১৫ রকমের অন্ন, ১০০ ধরনের ভাজা, ১১ রকম শুক্তো, ২০ রকম শাকে পদ, পনির পদ ২০ রকম, ১৫ ধরনের চাটনি, ১০ রকম দই ইত্যাদি ইত্যাদি। ৪০ হাজার ভক্ত- সাধারণের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা চূড়ান্ত। উৎসব বলে কথা। তাই বিশাল বাজির আয়োজন থাকছে। দেব-দেবীকে উপাসনা গৃহ থেকে বাইরে আনা হবে এই সময়। তাঁদের মনোরঞ্জনে এই বাজির বৈভব। তবে সবটাই শব্দহীন বাজি। আকাশের দিকে একদম না। সবটাই মাটিতে পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হলদিয়া রাধা পার্থ সারথী মন্দির ইসকনের জেনারেল ম্যানেজার লক্ষ্মী গোবিন্দ দাস জানান, “এই আধ্যাত্মিক চর্চা কেন্দ্র সমাজকল্যাণে কিছু কাজ করবে। আমরা স্কুল পড়ুয়াদের পাঠে মনোযোগী করতেও জোর দিচ্ছি। দুঃস্থদের জন্য রান্না করা খাদ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে ফুড ফর লাইফ' প্রকল্পে।” তিন দিনের এই উৎসব পর্বে কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা হবে। হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্প সংস্থা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন, কলকাতার বিশিষ্টজনদেরও আমন্ত্রণ থাকছে। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে জানান, “বহু মানুষ, ভিআইপি আসবেন। তাঁদের কথা ভেবে থাকছে পৃথক কার পার্কিং জোন। সমগ্র অনুষ্ঠান পর্বের নিরাপত্তার জন্য থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশ।”

No comments