৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান ফেলে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ মহিলা
গত মহিষাদল থানার অফিসার ইনচার্জ -এর কাছে হলদিয়া ভবানীপুর থানার অন্তর্গত বড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা তাপস মাইতি একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন , তাঁর ছোট্ট মেয়ে সংগীতা( মা…
৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান ফেলে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ মহিলা
গত মহিষাদল থানার অফিসার ইনচার্জ -এর কাছে হলদিয়া ভবানীপুর থানার অন্তর্গত বড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা তাপস মাইতি একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন , তাঁর ছোট্ট মেয়ে সংগীতা( মাইতি) সাহুকে ইং ১৪সেপ্টেম্বর২০২২ বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটের পর তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। আজও পর্যন্ত কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সংগীতার স্বামীর নাম রঞ্জন সাহু। শ্বশুরের নাম স্বপন সাহু। বাড়ি মহিষাদল থানার অন্তর্গত বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত গোপালচক গ্রামে। আজ থেকে ৫ বছর আগে সংগীতার বাবাও মা সামাজিক অনুষ্ঠান করে রঞ্জন -এর সহিত বিবাহ দেন। তাদের ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সংগীতার কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন অর্থাৎ শ্বশুর ,শ্বাশুড়ি ,ননদ ও দেওর প্রতিনিয়ত কুকথা ও নানারকম অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করত। কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য নানা দিক থেকে সংগীতার উপর নির্যাতন করত তাঁর স্বামী রঞ্জন সাহু। প্রায় ১মাস ১৫ দিন বাবার বাড়িতে সংগীতা তার শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য ছিলেন। বাবার বাড়িতে সংগীতা থাকাকালীন তার ৩ বছরের শিশুকন্যাকে স্বামী নিয়ে আসে দাদু, ঠাকুরমা এবং বাড়ির লোকজন দেখবে বলে। ইং ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার প্রায় সন্ধ্যা ৬ টার সময় বাবার বাড়ি থেকে সংগীতাকে তাঁর স্বামী রঞ্জন নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। সন্ধ্যে প্রায় ৭:৩০ মিনিট নাগাদ সংগীতা ফোন করে তার বাবা তাপস মাইতি কে, আমাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা বাড়িতে ঢুকতে দেয় না। মেয়ের ফোন করার পর বাবা তাপস মাইতি বহুবার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন মেয়েকে এবং জামাইবাবু রঞ্জন সাহুকে ফোনে খবর নেওয়ার জন্য। কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেন নাই। তাপস মাইতি মহিষাদল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁর মেয়ে সংগীতাকে খুন করেছে জামাই রঞ্জন সাহু, শ্বশুর স্বপন সাহু ,শ্বাশুড়ি শ্রীমতি সাহু, দেওর নিরঞ্জন সাহু ও ননদ প্রিয়াঙ্কা সাহু। মহিষাদল থানার কেস নম্বর ৭৮৮/২২। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য দেবপ্রসাদ সাহু বলেন , ঘটনার কথা শুনেছি। আমাকে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ের বাবা-মা। এই ব্যাপারটা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার সত্য উদঘাটন করবেন। এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা উপযুক্ত শাস্তি পায় যেন। আমরা কিছুই করতে পারব না। মহিষাদল থানার চক্র পরিদর্শক মানবেন্দ্র সাহু জানিয়েছেন, পুলিশের তদন্ত চলছে। নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে সংগীতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কোন রূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। স্ত্রীর নিখোঁজের ব্যাপারে স্বামী রঞ্জন সাহু লোকাল থানায় লিখিত অভিযোগ টুকু এখনও পর্যন্ত করেন নাই বলে জানিয়েছেন
সংগীতার বাবা -মা ।
No comments