Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

এস বি এস টি সি হলদিয়া ডিপো কর্মীদের কর্মবিরতি

এস বি এস টি সি হলদিয়া ডিপো কর্মীদের কর্মবিরতি
কর্মবিরতিতে হলদিয়া ডিপোর অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীরাও
 স্থায়ীকরণের দাবিতে এবার হলদিয়া ডিপোর অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীরাও কর্মবিরতি শুরু করলেন। এর ফলে মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ স…

 





এস বি এস টি সি হলদিয়া ডিপো কর্মীদের কর্মবিরতি


কর্মবিরতিতে হলদিয়া ডিপোর অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীরাও


 স্থায়ীকরণের দাবিতে এবার হলদিয়া ডিপোর অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীরাও কর্মবিরতি শুরু করলেন। এর ফলে মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার হলদিয়া ডিপোর কোনও বাস রাস্তায় নামেনি। দীঘা ডিপোতেও এদিন একই ঘটনা দেখা গিয়েছে। রবিবার১৮সেপ্টেম্বর থেকে দীঘা ডিপোয় কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। পুজোর মুখে জেলায় সরকারি বাস পরিষেবা অচল হওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে। দীঘা ডিপো থেকে দৈনিক ৩০টি সরকারি বাস চলাচল করে। তিনদিন ধরে ৩০টি বাস চলাচল বন্ধ। হলদিয়া ডিপো থেকে প্রতিদিন ২০টি এসবিএসটিসি বাস চলাচল করে। মঙ্গলবার থেকে ওই ২০টি বাস চলাচল বন্ধ হল। অস্থায়ী ড্রাইভার ও কন্ডাক্টররা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর সকালে হলদিয়া ডিপোর অস্থায়ী কর্মীরা ডিপোর গেট আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। ড্রাইভার, কন্ডাক্টররা কাজে যোগ না দেওয়ায় থমকে যায় বাস পরিষেবা। ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া থেকে কলকাতা সহ বিভিন্ন রুটের ২৫টি বাস চলে। বাস চালানোর জন্য স্থায়ী ড্রাইভার রয়েছেন মাত্র ৬ জন এবং কন্ডাক্টর ৩০ রয়েছে। মূলত অস্থায়ী ড্রাইভার ও কন্ডাক্টরদের উপর হলদিয়া ডিপোকে নির্ভর করতে হয়। অস্থায়ী ড্রাইভার রয়েছেন ৪০ জন এবং কন্ডাক্টর ৩০ জন। প্রসঙ্গত, হলদিয়া ডিপো মান্থলি টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গে প্রথম। করোনার আগে এই ডিপো প্রতি মাসে এক কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করত।

অস্থায়ী কর্মী অনুপ দাস বলেন, হলদিয়া ডিপো সম্পূর্ণ নির্ভর করে অস্থায়ীদের উপর। অস্থায়ীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন বলে হলদিয়া ডিপো লাভের মুখ দেখেছে। কিন্তু, স্থায়ীদের ৬ ভাগের একভাগ বেতন পান অস্থায়ীরা। এই বেতন বৈষম্য দূর করে সমকাজে সমবেতন দিতে হবে।

অস্থায়ী কর্মীরা জানান, তাঁরা মাসে ২৬ দিন ডিউটি করলে। সাড়ে ১১ হাজার টাকা পান। পিএফ কেটে নিলে টাকা পরিমাণ কমে যায়। ইদানীং সেই ডিউটির সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় অনেকে মাসে ৩-৪ হাজার টাকাও হাতে পান না। এছাড়া এই ডিপোর সাত ছাঁটাই কর্মীকে ফেরানোর জন্যও সরব হয়েছেন কর্মীরা।

ডিপো ইন চার্জ বলেন, এদিন ২৫টি বাসের মধ্যে স্থায়ী ড্রাইভারদের সাহায্য নিয়ে ৪-৫টি বাস চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। নিত্যযাত্রীদের হয়রানি কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সকালে চিত্তরঞ্জন সহ দূরপাল্লার দু'টি বাস এবং কলকাতার দু'টি বাস চালানো হয়। পরে বিকেলে হলদিয়ার অফিস ফেরত যাত্রীদের জন্য দু'টি বাস চালানো হয়। কবে নাগাদ কর্মবিরতি উঠবে আমরা জানি না। আইএনটিটিইউসির তমলুক জেলার সভাপতি শিবনাথ সরকার বলেন, কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কর্মবিরতি তোলার জন্য। কিন্তু, তাঁরা দাবিতে অনড়। হলদিয়ার এসডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে। অতিরিক্ত জেলাশাসককে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।

দীঘা ডিপোর অধীন ১৭০ জন অস্থায়ী বাস চালক ও কন্ডাক্টর কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন। অস্থায়ী কর্মীদের দৈনিক ৫১৯ টাকা করে দেওয়া হয়। যদিও দীঘা ডিপোয় প্রতিবছর এসবিএসটিসি বাসের সংখ্যা কমছে। ২০১৪ সালে দীঘা ডিপোর অধীনে ৯২টি বাস চলত। এখন প্রতিদিন ডিপো থেকে ৩০টি বাস চলে। বাস বসে যাওয়ায় অস্থায়ী কর্মীদেরও ছাঁটাই করে দেওয়া হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের পুনর্নিয়োগ, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, সবেতন ছুটি মঞ্জুর সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছেন অস্থায়ী কর্মীরা।

No comments