পুজোর আগে দুস্থদের নতুন পোশাক তুলে দিলেন
করোনা আবহ কাটিয়ে পুনরায় পূজোর আনন্দে মাততে চলেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। বাংলার দুর্গাপূজাকে ' ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ …
পুজোর আগে দুস্থদের নতুন পোশাক তুলে দিলেন
করোনা আবহ কাটিয়ে পুনরায় পূজোর আনন্দে মাততে চলেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। বাংলার দুর্গাপূজাকে ' ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ '-এর তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। এই আন্তর্জাতিক সম্মান পাওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বিশেষ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। তবে পূজোর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুজো কেন্দ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টিও সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। ধর্মনির্বিশেষে সবাই যাতে এই উৎসবে আনন্দ উপভোগ করতে পারে। তার জন্য সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সেই ভাবনা-চিন্তা মাথায় রেখে নাটশাল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১০৭ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি তাপস ধাড়া , মহালয়ার পূর্ণ লগ্নে শতাধিক সমাজের অবহেলিত দু:স্থ অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরকে পুজো দেখার জন্য নতুন বস্ত্র বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে তাদের হাতে তুলে দিলেন। এদিনের এই দুঃস্থ মানুষজনদের বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদর্শন মাইতি, সহ-সভাপতি অরুন দিন্দা, মহিষাদলের বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: আশিস ভক্তা ,ভোলসারা দ্বারিকা নাথ হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত ইতিহাসের শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র বেতাল ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রীদুর্গা প্রসাদ প্রধান প্রমূখ। এদিন এই বুথ এলাকার শতাধিক দু:স্থ মানুষদের কারও স্বামী নেই, আবার কারও ছেলে নেই। আবার ছেলে মেয়ের থেকেও নেই। তাদের হাতে নতুন বস্ত্র পুজো দেখার জন্য বিশিষ্টজনেরা তুলে দিলেন বলে জানিয়েছেন, বুথ সভাপতি তাপস ধাড়া। তাপস ধাড়া বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সেই আনন্দ উপভোগ করার জন্য আমার সারা বছরের একটা আয়ের অংশের টাকা জমা রেখেছিলাম। সেই টাকা দিয়ে দু:স্থ মানুষদের জন্য শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি কিনে পুজোর আগে উপহার দিলাম । সমাজসেবী অরুণ দিন্দা বলেন, আমরা সবাই যদি তাপস ধাড়ার মত হতাম। তাহলে অনেকটা যুগের পরিবর্তন হত।
No comments