খেজুরিতে দেশের প্রথম ডাকঘর ও ভবনকে হেরিটেজ ঘোষণা রাজ্যের
দীর্ঘদিনের দাবি মেনে খেজুরিতে অবস্থিত দেশের প্রথম ডাকঘর ও তার ভবনকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের অন্যান্য বেশকিছু নিদর্শনের …
খেজুরিতে দেশের প্রথম ডাকঘর ও ভবনকে হেরিটেজ ঘোষণা রাজ্যের
দীর্ঘদিনের দাবি মেনে খেজুরিতে অবস্থিত দেশের প্রথম ডাকঘর ও তার ভবনকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের অন্যান্য বেশকিছু নিদর্শনের সঙ্গে আড়াইশো বছরের প্রাচীন খেজুরির ভগ্নপ্রায় এই ডাকঘরটিকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার কথা জানানো হয়। এই ঘোষণায় খুশি খেজুরির ইতিহাসপ্রেমী মানুষজন। তাঁদের বক্তব্য, যেহেতু হেরিটেজের আওতায় এসেছে, তাই এই নিদর্শনটি সরকারি উদ্যোগে সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা হবে। খেজুরির মানুষজন বহুদিন ধরেই এই ডাকঘর সহ এলাকার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলিকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে তাঁদের অন্যতম দাবি পূরণ হয়েছে।
যদিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং দশকের পর দশক ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যার কারণে এই ডাকঘরটির অবশিষ্ট অংশ এখন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রাচীন এই ভবনের বেশিরভাগ অংশই ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে তিনতলার ভবন বিলীন হয়ে সিঁড়িঘরটিই রয়েছে। ভিতরে বাদুড়-চামচিকের বাসা। চারদিক কার্যত ঝোপঝাড়ে ঢেকে গিয়েছে। অথচ, কয়েকদশক আগে পর্যন্ত লোহার ঘোরানো সিঁড়ি সহ সুদৃশ্য ত্রিতল ভবন ও ১২টি কক্ষবিশিষ্ট বারাক এখানে অবস্থিত ছিল। বেশ কিছুদিন আগে হেরিটেজ কমিশনের এক প্রতিনিধিদল এই ডাকঘর সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেছিলেন। তারপরই খেজুরির ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি হেরিটেজের আওতায় আসার সম্ভাবনায় বুক বাঁধছিলেন এলাকার ইতিহাসপ্রেমী মানুষজন। খেজুরি হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতির সভাপতি তথা খেজুরি কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার মান্না এবং সম্পাদক প্রাক্তন বিধায়ক রামচন্দ্র মণ্ডল বলেন, সেই ১৯৭৮ সাল থেকে আমরা ঐতিহাসিক এই নিদর্শনটিকে রক্ষা করার জন্য নানা মহলে আবেদন করে এসেছি। ডাকঘর হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা হওয়ায় আমরা খুশি।
No comments