Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খারিজ হল

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৩০ জন শিক্ষকের চাকরি খারিজ হল
হাইকোর্টের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৩০ জন শিক্ষকের চাকরি খারিজ হল। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে ওই তালিকা জেলায় এসে পৌঁছেছে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যাল…

 


পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৩০ জন শিক্ষকের চাকরি খারিজ হল


হাইকোর্টের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৩০ জন শিক্ষকের চাকরি খারিজ হল। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে ওই তালিকা জেলায় এসে পৌঁছেছে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান ৩০ জনের চাকরি যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন। খারিজ হওয়া তালিকায় বেশ কয়েকজন শাসক দলের নেতার ঘনিষ্ঠ ও আত্মীয়স্বজন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । ৩০ জনের যাবতীয় নথি সংগ্রহ করে পর্ষদে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। 


সোমবার হাইকোর্ট প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি গোটা রাজ্যে ২৬৯ জন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। ২৬৯ জনের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরেই ৩০ জন রয়েছে বলে তাঁদের নামের তালিকা পৌঁছে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে ওই তালিকা বিভিন্ন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক(এসআই) অফিসে ই-মেলে যাওয়ার কথা। কিন্তু, তালিকা ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় এসআই অফিসে তালিকা পাঠানো হয়নি।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি খারিজ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি। কেউ বলছেন, তাঁর প্রেমিকাকে জোর করে বাবা প্রাথমিক শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। এখন ফেঁসে গিয়ে কাঁদছেন। আবার কারও উক্তি, ভুয়ো শিক্ষকের সঙ্গে প্রেম করা প্রাক্তন প্রেমিকা এখন ফিরে আসার অপেক্ষায় আছে। দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে খোরাকের শেষ নেই। প্রত্যেকেই চাইছেন, তালিকা সামনে আনা হোক। তাতে কোন কোন নেতার আত্মীয়স্বজন ও সুপারিশ করা লোকজন চাকরি পেয়েছিলেন, সেটা পরিষ্কার হবে। একইসঙ্গে নিয়োগ কেলেঙ্কারির নেপথ্যে যাঁদের ভূমিকা ছিল, তাঁদেরও খুঁজে বের করা হোক।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আদায়ের কয়েকশো অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। ময়না থানায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও কোলাঘাট, তমলুক, নন্দকুমার, মহিষাদল সহ প্রায় সবকটি থানায় চাকরির দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করেছেন। যেমন, তমলুক পুরসভার গত বোর্ডের এক কাউন্সিলার জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অফিসের এক কর্মীর দাদাকে প্রাথমিকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাড়ে ৫লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। তিনি দেড় লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। আরও দেড় লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চাইছেন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের জেলায় মোট ৩০ জনের তালিকা এসেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পর্ষদ থেকে চিঠিতে নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা এখনই প্রকাশ্যে আনা ঠিক হবে না। আমরা তাঁদের যাবতীয় নথি সংগ্রহ করছি। 

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সতীশ সাউ বলেন, নিয়োগ কেলেঙ্কারির মাথাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে আগামী দিনেও এভাবেই অনিয়ম হবে। কর্মপ্রার্থীদের উপর শাস্তির খাঁড়া নামবে। কিন্তু, মূল মাথারা রেহাই পেয়ে যাবে।

No comments