Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভিয়েতনাম থেকে ক্রেন কিনে বিপাকে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ

ভিয়েতনাম থেকে ক্রেন কিনে বিপাকে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ দেউলিয়া বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে ৫২ কোটি টাকার ক্রেন কিনে আইনি জটিলতায় পড়েছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২৪ মার্চ নতুন রেল মাউন্টেড কিউ ক্রেনটি (আরএমকিউসি) ভিয়েতনাম থেকে হল…

 




ভিয়েতনাম থেকে ক্রেন কিনে বিপাকে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ

 দেউলিয়া বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে ৫২ কোটি টাকার ক্রেন কিনে আইনি জটিলতায় পড়েছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২৪ মার্চ নতুন রেল মাউন্টেড কিউ ক্রেনটি (আরএমকিউসি) ভিয়েতনাম থেকে হলদিয়া এসে পৌঁছয়। জাহাজে পণ্যবাহী কন্টেনার ওঠানো নামানোর জন্য আনা হয়েছে এই নয়া ক্রেন। বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা বাড়িয়ে পণ্য আমদানি রপ্তানিতে জোর দিতে অত্যাধুনিক তৃতীয় আরএমকিউসি ক্রেন কেনা হয়েছে। নতুন ক্রেন কেনার পরই বন্দর কর্তৃপক্ষ জানতে পারে নির্মাণকারী সংস্থাটি লিকুইডেশনে চলে গিয়েছে অর্থাৎ দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে। এদিকে ক্রেন হলদিয়া পৌঁছলেও তাকে কার্যকরী করার মূল ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম 'ই-হাউজ' না আসায় কার্যত অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেটি। নির্মাণকারী সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণার ফলে ই-হাউজ' আদৌ আসবে কি না তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুধু ক্রেনের ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন বাই-হাউজই নয়, আইন জটিলতায় আটকে গিয়েছে বন্দরের কোটি কোটি টাকার সম্পদ।


বন্দরের এক আধিকারিক বলেন, ভিয়েতনাম থেকে আনা প্রায় সাততলা বাড়ির সমান উঁচু বিশালাকার এই ক্রেন জার্মান র প্রযুক্তিতে তৈরি। বিদেশে ক্রেনটি তৈরির পর জাম্বো জ্যাভেলিন নামে একটি জাহাজে চাপিয়ে আনা হয় হলদিয়ায়। ২৫ মার্চ ক্রেনটি জাহাজ থেকে নামানোর পর কয়েকদিন ধরে জার্মান ইঞ্জিনিয়াররা সেটি স্থাপন করেন। হলদিয়া ডকের ১০ 1 ও ১১ নম্বর বার্থের মাঝামাঝি নতুন ক্রেনটি বসানো হয়েছে। ওই দুটি বার্থেই রয়েছে বন্দরের কন্টেনার ইয়ার্ড। বর্তমানে কন্টেনার বার্থে দুটি আরএমকিউসি রয়েছে। বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডেলিংয়ে আরও গতি আনতে নতুন ক্রেন আনা হয়েছে। এখন বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা বছরে ১ লক্ষ ৮০ ইউনিট বা কন্টেনার। নতুন কন্টেনার আসায় সেই ক্ষমতা আরও ৮০-৯০ হাজার ইউনিট বা কন্টেনার বেড়ে যাবে বলে আশা করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।


বন্দরকে পণ্য বিক্রি করেছে। ওই সংস্থা তাদের বেনামী অ্যাকাউন্টে বন্দরের টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে। এই অবস্থায় বিপাকে পড়ে বন্দর এখন ই-হাউজ তৈরির জন্য বিকল্প সংস্থা খুঁজছে যাতে ক্রেন কার্যকরী করা যায়। আরএমকিউসি ক্রেন কেনা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ সমস্যায় পড়েছে বলে স্বীকার করেছেন বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা। তিনি বলেন, বিদেশি সংস্থাটি অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য লিকুইডেশনে চলে গিয়েছে। যে লিকুইডেটর আছে সেই এখন ক্রেনের ই-হাউস সাপ্লাই


সেই আশা এখন বড়সড় উদ্বেগ হয়ে ঘুম কেড়েছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের। জানা গিয়েছে, জাহাজে ক্রেনটি তোলার সময় কোনওভাবে ই-হাউজ অর্থাৎ ইঞ্জিনটি উপর থেকে পড়ে গিয়ে বিকল হয়ে যায় সমস্ত ইলেকট্রনিক সার্কিট। সেটি পরে পাঠানোর কথা ছিল। ঠিক তারপরই আইন জটিলতা শুরু হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে। ওদের সঙ্গে বন্দরের নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। তবে ক্রেনের দামের ৫০ শতাংশের বেশি টাকা ওই বিদেশি ক্রেনটি চালু করতে দেরি হয়ে যাবে এবিষয়ে কোনও সন্দেহ সংস্থাকে মিটিয়ে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে। সংস্থাটি নেই। এটি জুলাই মাস নাগাদ চালু হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু দেউলিয়া হওয়ার পর আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশে অন্য দেশ থেকে আসছে সেজন্য তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত আর্বিট্রেটর নিয়োগ হয়েছে। সংস্থার বকেয়া ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া যাচ্ছে না। কারণ দু'দেশের সম্পর্কের বিষয় রয়েছে। মেটানোর জন্য তার কোথায় কী সম্পদ রয়েছে বা মাল তিনি বলেন, সংস্থাটিকে ক্রেনের দামের সব টাকা দেওয়া কেনাবেচা হয়েছে তার খোঁজ নিতে শুরু করেছে আর্বিট্রেটর। হয়নি। এখনও অনেক টাকা বাকি রয়েছে। সেই আর্বিট্রেটরের মাধ্যমেই বন্দর কিছুদিন আগে জানতে পারে সংস্থাটি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।



েে 

No comments