পূর্ব মেদিনীপুর বাসীর অন্যতম গর্ব দুই শতাধিক বছরের মহিষাদল রাজবাড়ীর রথযাত্রা।
এই উপলক্ষে আগামী ৩০ জুন লেত উৎসবের দিন রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে "রাজপরিবারের ইতিকথা" নামক বইটি প্রকাশিত হবে মদন গোপাল জিউ মন্দিরে।
এই বইটি পড়লেই জ…
পূর্ব মেদিনীপুর বাসীর অন্যতম গর্ব দুই শতাধিক বছরের মহিষাদল রাজবাড়ীর রথযাত্রা।
এই উপলক্ষে আগামী ৩০ জুন লেত উৎসবের দিন রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে "রাজপরিবারের ইতিকথা" নামক বইটি প্রকাশিত হবে মদন গোপাল জিউ মন্দিরে।
এই বইটি পড়লেই জানতে পারবেন অনেক কাল আগের কথা। উত্তরপ্রদেশ থেকে সম্ভবত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেই জনার্দন উপাধ্যায় এসে উপস্থিত হন মেদিনীপুরের জীবনখালীতে, বর্তমানে যার নাম গেঁওখালী। সেইসময় মহিষাদল এলাকার জমিদার ছিলেন কল্যাণ রায়চৌধুরী। দুর্ভাগ্যবশত রাজস্ব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর জমিদারী নিলামে উঠল। জনার্দন উপাধ্যায় নিলামে কিনে নিলেন সেই জমিদারী এবং মহিষাদলে শুরু হল এক নতুন অধ্যায়। এই জনার্দন উপাধ্যায় হলেন মহিষাদল রাজপরিবারের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা। এরপর এই রাজপরিবারের পঞ্চম বংশধর আনন্দলাল উপাধ্যায় সন্তানহীন অবস্থায় দেহত্যাগ করলে তাঁর স্ত্রী জানকীদেবী জমিদারীর ভার নিজের হাতে নেন। জানকীদেবী এলাকার প্রভূত উন্নতিসাধন করেন ও গোপাল জিউ মন্দিরটি তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে তাঁর দৌহিত্র গুরুপ্রসাদ গর্গকে সম্পত্তি লিখে দিয়ে যান। এভাবেই উপাধ্যায় পরিবার থেকে গর্গ পরিবারে জমিদারী হস্তান্তরিত হয়। এই বংশেরই জমিদার জ্যোতিপ্রসাদ গর্গ ও পরে সতীপ্রসাদ গর্গ ইংরেজদের কাছ থেকে 'রাজা' উপাধি পান।
No comments