বাবার বকুনিতে আত্মহত্যা করলেন মেয়ে
এক একাদশ শ্রেণীর নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ছিলেন মিঠুন সিং নামেএক যুবক আর সেই নাবালিকা মেয়েকে আরো উচ্চশিক্ষা করাবেন বলে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হননি নাবালিকার বাবা-মা তাই এই ঘটনা…
বাবার বকুনিতে আত্মহত্যা করলেন মেয়ে
এক একাদশ শ্রেণীর নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ছিলেন মিঠুন সিং নামেএক যুবক আর সেই নাবালিকা মেয়েকে আরো উচ্চশিক্ষা করাবেন বলে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হননি নাবালিকার বাবা-মা তাই এই ঘটনা জানাজানি হতে মেয়েকে কিছুটা বকাঝকা করেছিলেন মেয়েকে, তাই সামান্য বকাবকি তে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুদেষ্ণা প্রামানিক বয়স 17পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা থানার অন্তর্গত ভগি ব্রহ্মপুর গ্রামে এক নাবালিকা নিজের ঘরেগলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনা জানা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ময়না থানার বাসিন্দা তপন কুমার প্রামানিক কর্মসূত্রে নিউ দিঘার ইলেকট্রিসিটি বাংলোর কেয়ারটেকার কাজ করেন , আর ওই অফিসে নাইট গার্ডের কাজ করতেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ময়না থানার বাসিন্দা মিঠুন সিং তপন কুমার প্রামানিকের নাবালক মেয়ে সুদেষ্ণা সঙ্গে ওই অফিসের নাইট গার্ড মিঠুন সিং এর সঙ্গে দু'বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গত পরশুদিন রাত্রে মেয়েকে গভীর রাতেখুঁজে না পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখেন মিঠুন ও তার মেয়ে সুদেষ্ণা ঘরের বাইরে বারান্দায় বসে কথা বলছে তখনই মেয়েকে সামান্য বকাঝকা করেন এরপরে গতকাল রাত্রে যখন সেই পর্যায় অনেকটা বাড়াবাড়ি হয়ে যায় গতকাল রাত্রে সুদেষ্ণা বাবা তার অফিসে বেরিয়ে যান তখনই সুদেষ্ণা নিজের ঘরের ভেতরে ঢুকে সিলিং ফ্যানে ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করে বাড়ির লোকজন রাত্রে যখন তাকে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করে তখন সাড়া না দেওয়ায় দরজা ভেঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তপনবাবুর কথায় আমি মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যেহেতু সে নাবালক এবং আমি চেয়েছিলাম সে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক কিন্তু ঐ যুবকটি তাকে এমন ভাবে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ছিল তাই বাধ্য হয়ে আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় দীঘা মোহনা কোস্টাল থানা পুলিশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় অপরদিকে মেয়ের পক্ষ থেকে মোহনা থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন মৃতার বাবা।
No comments