হুগলি নদীর চড়ায় ঠেকে যাওয়া হলদিয়া থেকে সাগরদ্বীপমুখী ট্রলারের যাত্রীদের উদ্ধার করল কোস্টগার্ড ও পুলিস প্রশাসনপূর্ব মেদিনীপুর হলদিয়া থেকে বৃহস্পতিবার রাত্রি ৮টা হুগলি নদীর চড়ায় ঠেকে যাওয়া হলদিয়া থেকে সাগরদ্বীপমুখী ট্রলারের যাত্র…
হুগলি নদীর চড়ায় ঠেকে যাওয়া হলদিয়া থেকে সাগরদ্বীপমুখী ট্রলারের যাত্রীদের উদ্ধার করল কোস্টগার্ড ও পুলিস প্রশাসন
পূর্ব মেদিনীপুর হলদিয়া থেকে বৃহস্পতিবার রাত্রি ৮টা হুগলি নদীর চড়ায় ঠেকে যাওয়া হলদিয়া থেকে সাগরদ্বীপমুখী ট্রলারের যাত্রীদের উদ্ধার করল কোস্টগার্ড ও পুলিস প্রশাসন। কোস্টগার্ড ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ হলদিয়ার টাউনশিপ নদীঘাট থেকে ছাড়ে যাত্রীবোঝাই ট্রলার। বিকেল ৫টা নাগাদ ট্রলারটি সাগরদ্বীপের অদূরে হুগলি নদীর চরে আটকে যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে মাঝনদীতে আটকে থাকার ফলে যাত্রীরা বিপদের আশঙ্কা করেন। ট্রলারে শিশু ও মহিলাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। অন্ধকার নেমে আসায় অনেকে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। কেউ কেউ উদ্বিগ্ন হয়ে প্রশাসনকে জানায়। কোস্টগার্ড এবং পূর্ব ও দক্ষিণ ২৪পরগণার জেলা ও পুলিস প্রশাসনের কাছে ৩০০জন যাত্রী নিয়ে ট্রলার বিপদে পড়েছে বলে খবর পৌঁছয়। ট্রলারের প্রকৃত যাত্রী সংখ্যা নিয়ে ক্রমশ বিভ্রান্তি ছড়ায়। হলদিয়া কোস্টগার্ড থেকে দুটি হোভারক্রাফ্ট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। উদ্ধারে নামে দক্ষিণ ২৪পরগণার পুলিস লঞ্চও। হলদিয়া কোস্টগার্ডের কমান্ডান্ট দীপক সিং জানান, ট্রলারের যাত্রীরা সবাই সুস্থভাবে উদ্ধার হয়েছেন। ট্রলারে ৮০-৮২জন যাত্রী ছিলেন বলে মাঝি জানিয়েছে। রাতে হোভারক্রাফ্ট নামানোর নিয়ম না থাকলেও খবর পেয়েই হলদিয়া ও ফ্রেজারগঞ্জ থেকে দুটি হোভারক্রাফ্ট ঘটনাস্থলের দিকে সন্ধে ৬টা ২০মিনিট নাগাদ রওনা দেয়। প্রথমে ট্রলারটি অন্ধকারে খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। পরে পুলিস ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে উদ্ধারে নামে। তবে কোনও বিপদ হয়নি। জোয়ার আসতেই ধীরে ধীরে ট্রলারটি ডাঙার দিকে এগয়। পুলিসের উপস্থিতিতেই সবাই উদ্ধার হয়েছে। এটি হলদিয়া-সাগরের সার্ভিস বোট হিসেবে চলাচল করে।
No comments