কলকাতা বন্দরের কাছে ডুবে গেল বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ
বন্দরের ভেতরে জাহাজডুবি। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ কলকাতা বন্দরের নেতাজি সুভাষ ডকের ৫ নম্বর বার্থে নোঙর করা একটি বাংলাদেশি জাহাজ আচমকা কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে। জাহাজ থেক…
কলকাতা বন্দরের কাছে ডুবে গেল বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ
বন্দরের ভেতরে জাহাজডুবি। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ কলকাতা বন্দরের নেতাজি সুভাষ ডকের ৫ নম্বর বার্থে নোঙর করা একটি বাংলাদেশি জাহাজ আচমকা কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে। জাহাজ থেকে ২৮টি কন্টেনার জলে পড়ে যায়। এমভি মেরিন ট্রাস্ট নামের ওই জাহাজে মোট ১৮ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই ডুবন্ত জাহাজ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে। কারওরই কোনও ক্ষতি হয়নি। জাহাজটি আধডোবা অবস্থায় যেখানে পড়ে রয়েছে, সেখানে জলের গভীরতা সাত মিটার। ভেসে যাওয়া কন্টেনারগুলি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। জাহাজটিকেও অক্ষত অবস্থায় সোজা করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই কাজ সম্পূর্ণ হতে দিন দশেক সময় লাগতে পারে বলে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট (এসএমপি) কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। ততদিন এই বার্থটি বন্ধ থাকবে। নেতাজি সুভাষ ডকে মোট ২৮টি বার্থ রয়েছে। অন্য বার্থগুলিতে অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ চলেছে।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। আজ, শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল এই পণ্যবাহী জাহাজের। এদিনই সকাল ৯টা নাগাদ জাহাজে কন্টেনার তোলার কাজ শেষ হয়। আর তার ২ ঘণ্টা বাদেই আচমকা কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে এমভি মেরিন ট্রাস্ট। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জাহাজের ডেকে কন্টেনারগুলি ঠিকমতো না রাখার ফলেই ভারসাম্য হারিয়ে সেটি উল্টে গিয়েছে। জাহাজে মোট ১৬৫টি কন্টেনার ছিল। সব মিলিয়ে কন্টেনারগুলির ওজন ছিল ৩,০৮৯ টন। জানা গিয়েছে, ১৮টি কন্টেনার জলের তলায় চলে গিয়েছে। আর ১০টি ভাসছে জলে। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে ভাসমান ক্রেন। লকগেট থাকায় অবশ্য কন্টেনারগুলি ভেসে চলে যাওয়ার উপায় নেই। তবে ভিতরের পণ্য কতটা ঠিক থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে সুতো, কনজিউমার সামগ্রী ছিল।
No comments