Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করদাতাকে হতাশ করে আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত বাজারে এলআইসির শেয়ার বিক্রির ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর করোনা আবহে করছাড়ের আশায় আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই টিভির দিকে চোখ রেখেছিলেন মধ্যবিত্তরা। এরপর এদিন সকাল ১১টা থেকে ২০২২-২৩ বাজেট পেশ করতে শুরু করেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই নিয়ে চতুর্থবার। কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে হতাশ হয়ে পড়েন করদাতারা। প্রত্যাশা থাকলেও এবারের বাজেটেও খালি হাতে ফেরাল মধ্যবিত্ত, চাকুরীজীবীদের। আয়কর কাঠামোতে কোনও পরিবর্তন নেই বলে বাজেটে সাফ জানিয়ে দেন সীতারমন। যদিও প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় সংস্কারে জোর দিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন তিনি। জানানো হয়, করদাতারা আপডেট রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন। ভুল সংশোধন করে ২ বছরের মধ্যে এই আপডেট রিটার্ন ফাইল করা যাবে। পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য আয়কর কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আয়করে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে পেনশনভোগীদেরও। এছাড়া এনসিএস বা জাতীয় পেনশন প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। করছাড় বেড়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলির সুবিধার্থে কর্পোরেট কর ১৮ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশ হয়েছে। কো-অপারেটিভগুলির সারচার্জ কমানো হয়েছে। সেটি ১২ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭ শতাংশ। এবারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত ডিজিটাল কারেন্সির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাঙ্কগুলির লেনদেনে বেশ কিছুটা সুবিধা হবে বলে দাবি করা হয়েছে। লং টার্ম ক্যাপিটাল গেন-এ ১৫ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে। এছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে আয়ে ৩০ শতাংশ কর লাগু করা হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি ভার্চুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেটের ট্রান্সফারের উপরেও থাকছে ৩০ শতাংশ কর। শেয়ার বাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে জীবনবিমা নিগমের আইপিও। সমস্ত সরকারি ক্রয়ের জন্য অনলাইন ই-বিল-এর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আপাতত ৮টি ভাষায় জমি রেকর্ডের নথি রাখা হবে। গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট বিস্তারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এদিন অর্থমন্ত্রী জানান ২০২২-২৩ এর মধ্যে দেশে ৫জি মোবাইল পরিষেবা চালু হবে। এই অর্থবর্ষের মধ্যেই ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম শেষ হবে। আগামী বছরের মধ্যে পোস্ট অফিসে কোর ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা চালু করা হবে। দেড় লক্ষ পোস্ট অফিসকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আনা হল। এই পোস্ট অফিসগুলিতে নেট ব্যাঙ্কিং, অনলাইন ব্যাঙ্কিং এবং এটিএমের সুবিধা পাওয়া যাবে। পোস্ট অফিসের পাশাপাশি দেশের ৭৫টি জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট গড়ে তোলা হবে। প্রতি বছরের বাজেটের মতোই এবারেও রেল নিয়ে সেরকম কোনও ঘোষণাই করা হয়নি। শুধুমাত্র বলা হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে ৪০০টি বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা হবে। এর পাশাপাশি পিপিপি মডেলে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা অনলাইন লেখাপড়ায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ফলে আগামী দিনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষার আরও প্রসার হবে বলেই ইঙ্গিত দিলেন নির্মলা। বাজেটে তিনি ঘোষণা করেন, দেশে একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার উদ্যোগ নেবে সরকার। একই সঙ্গে তিনি জানান, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার জন্য টিভি চ্যানেলও তৈরি করা হবে। আজ বাজেট পেশের পর ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে লেখেন, সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটে কিছুই নেই, প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। মুদ্রাস্ফিতি ও বেকারত্ব রোধে এই বাজেটে কোনও সংস্থানই নেই। সরকার কথা রাখতে ব্যর্থ। বড় বড় কথায় হারিয়ে গিয়েছে সরকার। এটি পেগাসাসে বিদ্ধ বাজেট। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়ানও। বাজাটে হিরের দাম কমানোর প্রসঙ্গ তুলে তিনি টুইট করেন। বলেন, হিরে এই সরকারের পরম বন্ধু। কৃষক, মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষ এবং বেকারদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিছুই করেননি। বাজেট নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ডাঃ অমিত মিত্রের মন্তব্য, মোদি সরকারের এই বাজেট অন্তঃসারশূণ্য। কেন্দ্রের এই বাজেটে আর্থিক বৃদ্ধির কোনও দিশা নেই। গরিব-মধ্যবিত্ত কারও জন্যই কিছু নেই। আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত। এই বাজেট একটা ভাঁওতা, সদিচ্ছার অভাবও রয়েছে। টুইট করেছেন রাহুল গান্ধীও। তিনি লেখেন, এই বাজেটে চাকুরীজীবী, মধ্যবিত্ত, গরীব, নতুন প্রজন্ম, কৃষক এবং এমএসএমই-র জন্য কিছুই নেই। টুইট করে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তিনি লিখেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বস্তি চেয়েছিলেন দেশের চাকুরিজীবী এবং মধ্যবিত্তরা। মুদ্রাস্ফীতি এবং বেতন সঙ্কোচনের পর এটাই ছিল তাঁদের কাছে শেষ আশা। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গভীরভাবে হতাশ করলেন। এটা দেশের চাকুরিজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। তবে বিরোধীদের কটাক্ষ সত্বেও এটিকে দূরদর্শী বাজেটে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ রক্ষার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

করদাতাকে হতাশ করে আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা -অর্থমন্ত্রীর
 করোনা আবহে করছাড়ের আশায় আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই টিভির দিকে চোখ রেখেছিলেন মধ্যবিত্তরা। এরপর এদিন সকাল ১১টা থেকে ২০২২-২৩ বাজেট পেশ করতে শুরু করেন দেশে…

 




করদাতাকে হতাশ করে আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা -অর্থমন্ত্রীর


 করোনা আবহে করছাড়ের আশায় আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই টিভির দিকে চোখ রেখেছিলেন মধ্যবিত্তরা। এরপর এদিন সকাল ১১টা থেকে ২০২২-২৩ বাজেট পেশ করতে শুরু করেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই নিয়ে চতুর্থবার। কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে হতাশ হয়ে পড়েন করদাতারা। প্রত্যাশা থাকলেও এবারের বাজেটেও খালি হাতে ফেরাল মধ্যবিত্ত, চাকুরীজীবীদের। আয়কর কাঠামোতে কোনও পরিবর্তন নেই বলে বাজেটে সাফ জানিয়ে দেন সীতারমন। যদিও প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় সংস্কারে জোর দিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন তিনি। জানানো হয়, করদাতারা আপডেট রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন। ভুল সংশোধন করে ২ বছরের মধ্যে এই আপডেট রিটার্ন ফাইল করা যাবে। পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য আয়কর কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আয়করে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে পেনশনভোগীদেরও। এছাড়া এনসিএস বা জাতীয় পেনশন প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। করছাড় বেড়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলির সুবিধার্থে কর্পোরেট কর ১৮ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশ হয়েছে। কো-অপারেটিভগুলির সারচার্জ কমানো হয়েছে। সেটি ১২ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭ শতাংশ। এবারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত ডিজিটাল কারেন্সির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাঙ্কগুলির লেনদেনে বেশ কিছুটা সুবিধা হবে বলে দাবি করা হয়েছে। লং টার্ম ক্যাপিটাল গেন-এ ১৫ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে। এছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে আয়ে ৩০ শতাংশ কর লাগু করা হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি ভার্চুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেটের ট্রান্সফারের উপরেও থাকছে ৩০ শতাংশ কর। শেয়ার বাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে জীবনবিমা নিগমের আইপিও। সমস্ত সরকারি ক্রয়ের জন্য অনলাইন ই-বিল-এর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আপাতত ৮টি ভাষায় জমি রেকর্ডের নথি রাখা হবে। গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট বিস্তারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এদিন অর্থমন্ত্রী জানান ২০২২-২৩ এর মধ্যে দেশে ৫জি মোবাইল পরিষেবা চালু হবে। এই অর্থবর্ষের মধ্যেই ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম শেষ হবে। আগামী বছরের মধ্যে পোস্ট অফিসে কোর ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা চালু করা হবে। দেড় লক্ষ পোস্ট অফিসকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আনা হল। এই পোস্ট অফিসগুলিতে নেট ব্যাঙ্কিং, অনলাইন ব্যাঙ্কিং এবং এটিএমের সুবিধা পাওয়া যাবে। পোস্ট অফিসের পাশাপাশি দেশের ৭৫টি জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট গড়ে তোলা হবে। প্রতি বছরের বাজেটের মতোই এবারেও রেল নিয়ে সেরকম কোনও ঘোষণাই করা হয়নি। শুধুমাত্র বলা হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে ৪০০টি বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা হবে। এর পাশাপাশি পিপিপি মডেলে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা অনলাইন লেখাপড়ায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ফলে আগামী দিনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষার আরও প্রসার হবে বলেই ইঙ্গিত দিলেন নির্মলা। বাজেটে তিনি ঘোষণা করেন, দেশে একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার উদ্যোগ নেবে সরকার। একই সঙ্গে তিনি জানান, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার জন্য টিভি চ্যানেলও তৈরি করা হবে।

আজ বাজেট পেশের পর ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে লেখেন, সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটে কিছুই নেই, প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। মুদ্রাস্ফিতি ও বেকারত্ব রোধে এই বাজেটে কোনও সংস্থানই নেই। সরকার কথা রাখতে ব্যর্থ। বড় বড় কথায় হারিয়ে গিয়েছে সরকার। এটি পেগাসাসে বিদ্ধ বাজেট। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়ানও। বাজাটে হিরের দাম কমানোর প্রসঙ্গ তুলে তিনি টুইট করেন। বলেন, হিরে এই সরকারের পরম বন্ধু। কৃষক, মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষ এবং বেকারদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিছুই করেননি। বাজেট নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ডাঃ অমিত মিত্রের মন্তব্য, মোদি সরকারের এই বাজেট অন্তঃসারশূণ্য। কেন্দ্রের এই বাজেটে আর্থিক বৃদ্ধির কোনও দিশা নেই। গরিব-মধ্যবিত্ত কারও জন্যই কিছু নেই।  আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত। এই বাজেট একটা ভাঁওতা, সদিচ্ছার অভাবও রয়েছে।  টুইট করেছেন রাহুল গান্ধীও। তিনি লেখেন, এই বাজেটে চাকুরীজীবী, মধ্যবিত্ত, গরীব, নতুন প্রজন্ম, কৃষক এবং এমএসএমই-র জন্য কিছুই নেই। টুইট করে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তিনি লিখেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বস্তি চেয়েছিলেন দেশের চাকুরিজীবী এবং মধ্যবিত্তরা। মুদ্রাস্ফীতি এবং বেতন সঙ্কোচনের পর এটাই ছিল তাঁদের কাছে শেষ আশা। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গভীরভাবে হতাশ করলেন। এটা দেশের চাকুরিজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। তবে বিরোধীদের কটাক্ষ সত্বেও এটিকে দূরদর্শী বাজেটে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ রক্ষার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

No comments