Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’

৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’

রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তৎপর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় স…

 




৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’



রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তৎপর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। ইতিমধ্যেই তারা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে জেলার সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকের ‘পাড়ায় শিক্ষালয়ে’ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সোমবার রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য অধিকারিকদের। সেখানেই সকল শিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাড়ায় শিক্ষালয়ে সমস্ত শিক্ষক আসছেন কিনা তা তদারকির জন্য প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্কুল ইন্সপেক্টরদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শিক্ষাদপ্তরের তরফে পাড়ায় শিক্ষালয় সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নির্দেশ মেনেই জেলায় পাড়ায় শিক্ষালয় চালু করা হবে। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। শিক্ষক রয়েছেন প্রায় পনেরো হাজারের মতো। ফলে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি সফল করতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে আত্মবিশ্বাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, জেলায় পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে। ফলে করোনা বিধি মেনে বাচ্চাদের শিক্ষাদানে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। 

শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সপ্তাহের সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত আগের নিয়মেই এই শিক্ষালয় চলবে। তবে শিক্ষালয় হতে হবে উন্মুক্ত খোলা আকাশের নীচে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে হবে দুই অর্ধে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা এবং বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টে। মাঝে টিফিন বিরতির জন্য এক ঘণ্টা সময় রাখা হচ্ছে। কোন ছাত্র বা ছাত্রীকে কোন পাড়ার শিক্ষালয়ে পাঠাতে হবে এবং কী কী প্রস্তুতি সহ পাঠাতে হবে, সেটা আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষদপ্তর। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ দ্রুত এই কাজ করতে চাইছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এই কাজের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষয়ী বলেন, জেলায় পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকায় একই পাড়ায় একাধিক শিক্ষালয়ও চলতে পারে। একটিতে যদি প্রথম শ্রেণির ক্লাস হয়, তাহলে অন্য শিক্ষালয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস চলবে। প্রতি অর্ধে শিক্ষার্থী বদল হলেও শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলাবে না। 

তবে পাড়ার শিক্ষালয়ের ফলে অনলাইন ক্লাসের কী হবে, তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে অনেকের মধ্যেই। এক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাল্টা যুক্তি, পাড়ায় শিক্ষালয়ের মতো এত ভালো উদ্যোগের পরেও কি অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজন আছে?

করোনার কারণে অন্যান্য পড়ুয়াদের অনলাইনে পঠনপাঠন চললেও লেখাপড়া ভুলতে বসেছিল প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা। ফলে সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা লেখিকা রোশনারা খান। তিনি বলেন, করোনার জেরে সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়ারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পড়াশোনার জন্য তাদের ফোনও নেই। বাড়িতে দেখিয়ে দেওয়ারও কেউ নেই। ফলে সরকারের এই উদ্যোগ অবশ্যই ভালো। তবে খোলা আকাশের নীচে ক্লাস হলে পড়ুয়াদের অমনোযোগী হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

No comments