সরস্বতী পুজোর আগেই অবশেষে খুলছে অষ্টম শ্রেণির ক্লাসরুমপ্রায় দু’বছর পর অবশেষে খুলছে অষ্টম শ্রেণির ক্লাসরুম। সরস্বতী পুজোর আগেই। নিচু ক্লাস বাদ রেখে পঠনপাঠন চালু হচ্ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি …
সরস্বতী পুজোর আগেই অবশেষে খুলছে অষ্টম শ্রেণির ক্লাসরুম
প্রায় দু’বছর পর অবশেষে খুলছে অষ্টম শ্রেণির ক্লাসরুম। সরস্বতী পুজোর আগেই। নিচু ক্লাস বাদ রেখে পঠনপাঠন চালু হচ্ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য চলবে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচি। স্কুল খোলা হবে শুধু অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। একইদিনে খুলে যাবে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল কলেজ, আইটিআই, পলিটেকনিক কলেজ। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখন বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তাই সোমবার নিয়ম মেনে শিক্ষাঙ্গনের দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে কোভিড বিধি-নিষেধেও কিছু ছাড় ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নয়া নিয়ম কার্যকর থাকবে। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য প্রাথমিকের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছিলেন। সন্ধ্যার মধ্যেই স্কুল শিক্ষাদপ্তর জানিয়ে দেয়, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচি শুরু হবে। আওতায় থাকছে সব সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল, শিশু শিক্ষাকেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র।
এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং বিধি-নিষেধে কিছু ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘করোনার কারণে তিন বছর ধরে সব কিছু বন্ধ। যদি সারাক্ষণ এই ভাবে বিধি-নিষেধ থাকে, তাহলে জীবন-জীবিকা চলবে কী করে? তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করে আমরা আরও কিছু ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিলাম।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, রাত্রিকালীন কঠোর বিধি-নিষেধের সময়সীমা কিছুটা কমানো হচ্ছে। রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশ বিধি বলবৎ থাকবে। এখন থেকে মুম্বই ও দিল্লি থেকে প্রতিদিন নিয়মিত বিমান চলাচল করবে। তবে বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। ব্রিটেন থেকে আসা বিমানও সরাসরি কলকাতায় অবতরণ করতে পারবে। তবে যাত্রীদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। লোকাল ট্রেনের সময় অবশ্য বাড়ানো হচ্ছে না। তবে প্রায় এক মাস বাদে আজ, মঙ্গলবার থেকে মেট্রো রেলে আবার চালু হচ্ছে টোকেন সিস্টেম।
সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কর্মী সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। মেট্রো, রেল, বিনোদন পার্ক, সিনেমা হল, থিয়েটার প্রেক্ষাগৃহ, চিড়িয়াখানা, মিউজিয়াম, পানশালা, রেস্তরাঁ, সেলুন, বিউটি পার্লার, জিম, স্পা, ওয়েলনেস সেন্টার, বিয়েবাড়ি, সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক কর্মসূচি—সব ক্ষেত্রেই ৭৫ শতাংশ উপস্থিতির হার নির্দিষ্ট করা হয়েছে। একই নিয়ম থাকছে পর্যটনকেন্দ্রগুলির জন্য। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। কারণ, চারটি পুরসভার ভোট সামনেই। এবার প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাসরুম কবে খোলে, তারই অপেক্ষা!
No comments