সব্যসাচী ফিরবে কবে নিজের দেশে সেই আতঙ্কে দিন কাটছে পাঁজা দম্পতিরখারুই গ্রামের ছেলে সব্যসাচী ফিরবে কবে নিজের দেশে সেই আতঙ্কে দিন কাটছে পাঁজা দম্পতির।ছেলেকে ডাক্তারী পড়ানোর উদ্দেশ্যে পাঁচবছর আগে পাঠিয়েছিলেন ইউক্রেনের লোহানকে স্টেট …
সব্যসাচী ফিরবে কবে নিজের দেশে সেই আতঙ্কে দিন কাটছে পাঁজা দম্পতির
খারুই গ্রামের ছেলে সব্যসাচী ফিরবে কবে নিজের দেশে সেই আতঙ্কে দিন কাটছে পাঁজা দম্পতির।ছেলেকে ডাক্তারী পড়ানোর উদ্দেশ্যে পাঁচবছর আগে পাঠিয়েছিলেন ইউক্রেনের লোহানকে স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে।বর্তমানে পঞ্চম বর্ষের ছাত্র সব্যসাচী পাঁজা।আর মাত্র একটি বছর বাকি এম বি বি এস পাস করতে।তবে শেষ মহুর্তে সবকিছু যেন ওলটপালট ভবিষ্যত জীবন।কারন এখন লেগেছে ইউক্রেন - রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি। আর সেই এলাকার মানুষ এখন ভীত সন্ত্রস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।বর্তমানে সব্যসাচীও একই পরিস্থিতিতে দিনকাটাচ্ছেন,এমনটাই জানালেন সব্যসাচীর বাবা গদাধর পাঁজা ও মা দীপা পাঁজা।তাঁরা জানান,এই মুহুর্তে সব্যসাচী সহ আরো ১২ জন বাঙালী সহপাঠীর দিন কাটছে রুবজনি শহরে তাদের হোস্টেলের বাঙ্কারে।রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।মাঝেমধ্যে বোমার আওয়াজ ভেসে আসছে।রুবজনি শহরের ওপর দিয়েই যাচ্ছে যুদ্ধের সরঞ্জাম বোঝাই গাড়ি সহ ট্রাঙ্কার।ফলে একদিকে যেমন আতঙ্ক অন্যদিকে খাওয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে।সব্যসাচীর কথায়,কোনরকম দোকানে গিয়ে দু এক দিনের খাওয়ার সংগ্রহ করেছে।এরপর যদি আরো পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়,তাহলে চিন্তার শেষ থাকবে না।রাতে সব্যসাচী ভিডিও কল করে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানায়।তবে উৎকন্ঠায় এই মুহুর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই গ্রামের পাঁজা পরিবার।তাদের এখন কাতর আবেদন,যে ভাবেই হোক ভারত সরকার সমস্ত আটকে পড়া ভারতীয়সহ তার পুত্র সব্যসাচীকেও উদ্ধার করে নিয়ে আসুক। ইউক্রেনের রুবজনি শহর থেকে কবে দেশে ফিরতে পারবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে সব্যসাচী ও তার পরিবার। সব্যসাচীর মা দীপা দেবী বলেন প্রতিবেশীরাও আমাদের মতোই চিন্তায় রয়েছে। কবে ফিরবে এলাকার ছেলে সেই দিকেই তাকিয়ে পরিবার পরিজন সহ প্রতিবেশীরাও।
No comments