পুনরায় ,প্রস্তাবিত শিল্প প্রকল্প দেখতেনয়াচরে আসছে নবান্নের দল
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত নয়াচরে প্রস্তাবিত ফিশিং হাব ও ইকো ট্যুরিজম পার্কের কাজ দ্রুত রূপায়ণ হতে চলেছে। তার আগে আগামী পরশু …
পুনরায় ,প্রস্তাবিত শিল্প প্রকল্প দেখতে
নয়াচরে আসছে নবান্নের দল
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত নয়াচরে প্রস্তাবিত ফিশিং হাব ও ইকো ট্যুরিজম পার্কের কাজ দ্রুত রূপায়ণ হতে চলেছে। তার আগে আগামী পরশু রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের এক প্রতিনিধি দল নয়াচর পরিদর্শনে আসছে। ওই টিম নয়াচর পরিদর্শন সেরে হলদিয়া ভবনে বৈঠকে অংশ নেবে। মূলত সমবায় সমিতি গঠন নিয়ে বৈঠক হবে। মৎস্য সমবায় সমিতির মাধ্যমে ওই প্রকল্প গড়ে উঠবে। নবান্নের ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের অফিসাররাও। তার আগে আজ, মঙ্গলবার জেলা পরিকল্পনা অফিসার বুদ্ধদেব পান সহ প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের একটি টিম নয়াচরে যাবে।
গত ১৪ ও ১৫ডিসেম্বর নয়াচরে প্রস্তাবিত ওই প্রকল্প নিয়ে ফিল্ড সার্ভে করে রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, নয়াচরে মোট ১২ হাজার একর জমি রয়েছে। তারমধ্যে প্রায় দেড় হাজার একর জমি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের। বাকি জমি ভূমিদপ্তরের অধীনে রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচ হাজারের বেশি বাসিন্দা ওই এলাকায় মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত। কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে মৎস্যজীবীরা সেখানে মাছ চাষ করেন। গত বছর যশ সাইক্লোনে গোটা নয়াচর দ্বীপ ভেসে গিয়েছিল। তাতে মাছ চাষে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীরা রাজ্যের ফিশিংহাব ও ইকো ট্যুরিজম পার্ক স্কিমে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসন এবং রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের কাছে আর্জি জানিয়ে ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়ন, মাছ চাষ, ইকো পার্ক তৈরি করতে কোথায় কতটা জমি প্রয়োজন হবে, এনিয়ে সার্ভে হয়েছে। ফিশিং হাব, ইকো ট্যুরিজম, সোলার প্ল্যান্ট, রাস্তাঘাট ইত্যাদি তৈরি হবে। ওই প্রকল্প রূপায়ণ হলে নয়াচরে পর্যটক আনাগোনা বাড়বে। মীনদ্বীপকে ঘিরে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রী নয়াচরের ওই প্রজেক্টকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্য নয়াচর পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তারপর সার্ভে রিপোর্ট জমা পড়ার পর ফের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি আসবেন। সমবায় সমিতি গঠন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকের পর নয়াচরে প্রস্তাবিত প্রজেক্ট নিয়ে কাজকর্ম শুরু হবে বলে জেলা প্রশাসনের অফিসাররা মনে করছেন।
সোমবার বিকেলে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে নয়াচরে প্রস্তাবিত ফিশিং হাব ও ইকো ট্যুরিজম পার্ক নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে মৎস্য, বন, বিদ্যুৎবণ্টন, পর্যটন, ভূমি প্রভৃতি দপ্তরের অফিসারদের রাজ্যের প্রতিনিধি দলের ভিজিট ও তার প্রস্তুতি নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেলাশাসক বলেন, বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে রাজ্য থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম নয়াচর ভিজিটে আসবে। ওই পরিদর্শন শেষে তাঁরা হলদিয়া ভবনে বৈঠক করবেন। মূলত সমবায় সমিতি গঠন নিয়ে ওই আলোচনা হবে। কো-অপারেটিভ গঠন করেই ওই স্কিম রূপায়ণ হবে। সেনিয়ে আলোচনা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।
No comments