বিদ্যার দেবী সরস্বতী পুজোর দিন মহিষাদল রাজ হাই স্কুলের সামনে
গুরুত্ব হারাচ্ছে সরস্বতী পুজো । ছাত্রজীবনে সরস্বতী পুজোর আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। বলা ভালো আলাদা মাহাত্ম্য ছিল ।বর্তমান সময়ে সরস্বতী পুজোর সেই মাহাত্ম্য আর নেই ।বর্ত…
বিদ্যার দেবী সরস্বতী পুজোর দিন মহিষাদল রাজ হাই স্কুলের সামনে
গুরুত্ব হারাচ্ছে সরস্বতী পুজো । ছাত্রজীবনে সরস্বতী পুজোর আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। বলা ভালো আলাদা মাহাত্ম্য ছিল ।বর্তমান সময়ে সরস্বতী পুজোর সেই মাহাত্ম্য আর নেই ।বর্তমান প্রজন্মের কাছে সরস্বতী পুজো তার গুরুত্ব হারিয়েছে। পরিণত হয়েছে নিছক প্রেম নিবেদন এবং প্রেম উদযাপনের দিন হিসাবে । একটা সময় ছিল, যখন সরস্বতী পুজোর সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই স্কুল-কলেজে এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত ।পুজোর জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হত স্কুল, কলেজ। শিক্ষক-- শিক্ষিকাদের নির্দেশে চলত পুজোর লিস্ট তৈরি ,বাজার করা। পুজোর আগের দিন মূর্তি আনা হত। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এসবই ছিল আলাদা প্রাপ্তি।
পুজোর দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে শীতের মধ্যে স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হত পড়ুয়ারা। যতক্ষণ পুজো শেষ না হচ্ছে, ততক্ষণ চলে উপোস। দেবীর পায়ে ফুল নিবেদন করে এক মনে প্রার্থনা করা হত পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্য। তারপর মুখে দেওয়া হত প্রসাদ। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিলে চলত খিচুড়ি খাওয়া পালা । বড়ো ক্লাসের দাদা-দিদিরা অভিভাবকদের দায়িত্ব নিয়ে দেখাশুনা করতেন প্রসাদ বিতরণে । বিকেলবেলা শাড়ি পরে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বড়োরা সবাই চলতেন ঠাকুর দর্শনে ।স্কুলে-- স্কুলে ঘুরে দর্শন করা হত সরস্বতী প্রতিমা ।আর ঘরে ফেরার পথে অবশ্যই স্টুডিওতে ঢুকে ফটো তোলা হত, যা স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়া হত। কিন্তু সেসব দিন অতীত। এখন সরস্বতী পুজো মানেই প্রেম উদযাপন। পুজোর একসপ্তাহ আগে থেকে পরিকল্পনা চলে। তবে সেটা পুজো কিভাবে হবে তা নিয়ে নয়, কার সঙ্গে কোথায় ঘুরতে যাওয়া হবে, তা ঠিক করতে। কে শাড়ির কুচি ধরে দেবে, সেটাই এখন পড়ুয়াদের আসল মাথাব্যথা।
No comments