হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে বন্দরে ফায়ার ডিভিশনে ঠিকা কর্মীর কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ মন্ডল সভাপতি দের

হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে বন্দরে ফায়ার ডিভিশনে ঠিকা কর্মীর কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলের কর্মীরা ও মন্ডল সভাপতি। হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে বন্দ…

 হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে বন্দরে ফায়ার ডিভিশনে ঠিকা কর্মীর কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলের কর্মীরা ও মন্ডল সভাপতি।

 হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে বন্দরে ফায়ার ডিভিশনে ঠিকা কর্মীর কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শিল্পশহরে দলের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শিল্পাঞ্চলে দলের শ্রমিক সংগঠন ও নেতা কর্মীদের অন্ধকারে রেখে বিধায়ক ও তাঁর এক সঙ্গী একাজ করেছেন বলে বিজেপির তমলুক জেলার সভাপতির কাছে অভিযোগ করেছেন হলদিয়ার মণ্ডল সভাপতিরা। এই ঘটনায় শিল্পশহর জুড়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন দলের নেতা কর্মীরা। সম্প্রতি হলদিয়া বন্দরের দমকল বিভাগে ১৪জন ঠিকা কর্মী নিয়োগ হয়েছে। জানা গিয়েছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ ভিন রাজ্যের একটি বেসরকারি সংস্থাকে ফায়ারের টেন্ডার দিয়েছে। ওই সংস্থার একটি ফায়ার ইঞ্জিন কর্মী নিয়োগের অভাবে বন্দরে এসে পড়েছিল। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ বন্দর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ইন্টারভিউ করে ওই কাজের জন্য ৯জন ফায়ারম্যান, ৩জন ফায়ার সুপারভাইজার এবং দু’জন ড্রাইভার কাম পাম্প অপারেটর নিয়োগ করা হয়। ওই ঠিকা কর্মী নিয়োগ নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেখানে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে তাঁর পছন্দমতো দু’জনকে বিজেপি বিধায়ক কাজ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির হলদিয়ার বিভিন্ন মণ্ডল সভাপতিরা। তাঁরা বলেন, দলবদলু বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। উনি দলে এসে বিভাজন ঘটিয়েছেন। সেজন্য হলদিয়ায় জেতার পর যেখানে কর্মসূচী নিতে যান বিক্ষোভের মুখে পড়েন। যশের সময় একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে ওনার যোগাযোগ নেই। এবিষয়টি আমরা হোয়াটসঅ্যাপে লিখে জেলা সভাপতিকে ম্যাসেজ করেছি আমরা। জেলা সভাপতি তপনবাবু বলেন, ওই ম্যাসেজ আমি দেখেছি। এই বিষয়টি সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে, তদন্ত করতে হবে। ঘটনার সত্যতা থাকলে পার্টি সেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখানে সমস্ত শিল্পকারখানায় শাসকদলের ইউনিয়ন রয়েছে। সেখানে কীভাবে আমি লোক ঢোকাবো? এদিকে, বন্দরের এই কর্মী নিয়ে ঠিকাদার সংস্থার সুপারভাইজারকে মারধরের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকা সংস্থার সাইট সুপারভাইজার লোকেশ কুমারকে বন্দর এলাকার মধ্যেই সরোজ গায়েন নামে বন্দরের এক কর্মীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিস ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন) প্রভীনকুমার দাস বলেন, ওই সুপারভাইজারকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত চলছে। এদিকে, নিয়োগের স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। একইসঙ্গে একটি ঠিকা সংস্থার নিয়োগের মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ কেন হস্তক্ষেপ করল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।