"মরণোত্তর চক্ষুদান" করলেন তমলুকের গড়কিল্লা গ্রামের মধুসূদন মালিকের পরিবার"
প্রদীপ কুমার মাইতি, তমলুক,মঙ্গলবার তমলুকের হরিশংকর গড়কিল্লা গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন মালিক (বয়স ৮১ বছর ) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে…
"মরণোত্তর চক্ষুদান" করলেন তমলুকের গড়কিল্লা গ্রামের মধুসূদন মালিকের পরিবার"
প্রদীপ কুমার মাইতি, তমলুক,মঙ্গলবার তমলুকের হরিশংকর গড়কিল্লা গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন মালিক (বয়স ৮১ বছর ) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শোকাতুর হঠাৎ পিতৃহারা দুই ভাই গোপাল মালিক ও গোবিন্দ মালিকের কাছে মরণোত্তর চক্ষুদানের প্রস্তাব দিই। তাঁদের বলি যে আপনাদের বাবা মারা গেলেও মরণোত্তর চক্ষুদানের মাধ্যমে তিনি তাঁর চোখ দিয়ে অন্য দু জন অন্ধ মানুষের চোখে পুনরায় পৃথিবীর আলো দেখবেন এবং দু জন অন্ধ মানুষ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবেন। মালিক পরিবার ও প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মরণোত্তর চক্ষুদানে সম্মত হন। বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম ও নেত্র নিরাময় নিকেতন (চৈতন্যপুর, হলদিয়া,পূর্ব মেদিনীপুর) আই ব্যাঙ্কের টিমের সহযোগীতায় কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করা হয়।
মৃত্যুর পরও চোখ দান করে নজির গড়লেন তমলুকের গড়কিল্লা গ্রামের মধুসূদন বাবু। যদিও তিনি পরলোকগমন করেন,তাঁর মৃত্যুর পরও তিনি পৃথিবীর আলো দেখতে পাবেন দুচোখ দিয়ে এটাই আশা তাঁর পরিবারের।
No comments