Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬১টি বেসিক লাইফ সাপোর্ট(বিএলএস) অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় নেওয়ার জন্য আর্থিক ছাড়পত্র দিল স্বাস্থ্যভবন

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬১টি বেসিক লাইফ সাপোর্ট(বিএলএস) অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় নেওয়ার জন্য আর্থিক ছাড়পত্র দিল স্বাস্থ্যভবনকরোনা মোকাবিলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬১টি বেসিক লাইফ সাপোর্ট(বিএলএস) অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় নেওয়ার জন্য আর্থিক ছাড়…

 



পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬১টি বেসিক লাইফ সাপোর্ট(বিএলএস) অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় নেওয়ার জন্য আর্থিক ছাড়পত্র দিল স্বাস্থ্যভবন

করোনা মোকাবিলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬১টি বেসিক লাইফ সাপোর্ট(বিএলএস) অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় নেওয়ার জন্য আর্থিক ছাড়পত্র দিল স্বাস্থ্যভবন। আগামী ছ’মাসের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলায় ৪৫টি এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলায় আরও ১৬টি অ্যাম্বুলেন্স করোনা রোগীদের পরিবহণের জন্য নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি ও স্টেট জেনারেল কোভিড হাসপাতাল, কোভিড কেয়ার সেন্টার এবং সিএমওএইচ অফিসে ওইসব অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে। প্রত্যেক অ্যাম্বুলেন্সের জন্য প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ ৮৫হাজার টাকা খরচ হবে। করোনা সংক্রামিতদের জীবনদায়ী ব্যাবস্থাপনার মধ্য দিয়ে বাড়ি থেকে দ্রুত হাসপাতাল এবং এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় রেফার করার কাজে লাগানো হবে। রোগী ভর্তির জন্য কোভিড ওয়ার্ড চালু হওয়ার পর এখন তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স জোগাড়ের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওইসব অ্যাম্বুলেন্সে ১৩রকমের লাইফ সাপোর্ট সরঞ্জাম থাকবে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দৈনিক তিন থেকে চারশো পর্যন্ত সংক্রমণ হচ্ছে। এই মুহূর্তে বেশিরভাগ হোম আইসোলেশনে থাকছেন। কিন্তু, আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে সেটাই চিন্তায় বিষয়। আপাতত কোভিড ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা সেরে রাখার জন্য জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইমতো কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোম, আইসোলেশন ওয়ার্ড নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিন হাসপাতালে চারশো বেডের কোভিড ওয়ার্ড চালু হয়েছে। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তিনশো বেড রয়েছে। পুরোটাই করোনা সংক্রামিতদের চিকিৎসা হবে। এছাড়াও নন্দীগ্রাম জেলা হাসপাতালে ৭০বেড এবং কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ৩৬বেডের কোভিড ওয়ার্ড চালু হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে তমলুক, হলদিয়া, এগরা এবং দীঘা হাসপাতালেও কোভিড ওয়ার্ডের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেন নিয়ে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। সেই সঙ্কট থেকে শিক্ষা নিয়ে জেলায় জেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে একশো শতাংশ বেডে পাইপ লাইনে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য পিএসএ(প্রেশার স্যুইং অ্যাডসর্পশন) প্ল্যান্ট চালু হয়। তমলুক জেলা হাসপাতাল, নন্দীগ্রাম জেলা হাসপাতাল এবং পাঁশকুড়া কোভিড হাসপাতালে ওই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে কাঁথি এবং দীঘা হাসপাতালেও চালু হয়ে যাবে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় কোভিড সংক্রামিতদের সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছিল। সেই সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই এবার আগেভাগে পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় নেওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। সেইমতো ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্স নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তমলুক সিএমওএইচ অফিস থেকে ৪৫টি অ্যাম্বলেন্স ভাড়ায় নেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। নন্দীগ্রাম সিএমওএইচ অফিসে অ্যাকাউন্টেন্সি বিভাগে অফিসার সহ প্রত্যেক কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। নন্দীগ্রামের সিএমওএইচ সৌম্য ষড়ঙ্গী বলেন, আমরা ১৬টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় নেওয়ার অনুমোদন পেয়েছি। তমলুকের সিএমওএইচ বিভাস রায় বলেন, আমরা ৪৫টি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়ার জন্য টেন্ডার ডেকেছি।

No comments