হলদিয়া এনার্জির শাটডাউন নিয়ে চরম সতর্কতা ডাইরেক্টরেট অব ফ্যাক্টরিজের শাটডাউন কাজের জন্য স্থানীয়দের বিক্ষোভ, অগ্নিকাণ্ডে মৃত আরও ১
হলদিয়া আইওসি রিফাইনারি অগ্নিকাণ্ডে আরও একজন অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু হল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপ…
হলদিয়া এনার্জির শাটডাউন নিয়ে চরম সতর্কতা ডাইরেক্টরেট অব ফ্যাক্টরিজের শাটডাউন কাজের জন্য স্থানীয়দের বিক্ষোভ, অগ্নিকাণ্ডে মৃত আরও ১
হলদিয়া আইওসি রিফাইনারি অগ্নিকাণ্ডে আরও একজন অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু হল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর নাম লালবাবু মাহাতো (৩৭)। তাঁর বাড়ি বিহারে। পাঁচজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এনিয়ে আইওসির দুর্ঘটনায় মোট ৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হল। ওই দুর্ঘটনায় মোট ৪৪ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন। গত ২১ ডিসেম্বর দুপুরে আইওসির এমএসকিউ প্ল্যান্টে শাটডাউনের কাজ চলার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আইএনটিটিইউসির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মাইতি জানান, মৃত শ্রমিকের নাম জানিয়েছে আইওসি। বাকি অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় বহন করছে আইওসি। অগ্নিদগ্ধদের পরিবারের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে আইএনটিটিইউসির তরফে।
এদিকে, পেট্রকেম ও আইওসি রিফাইনারিতে শাটডাউনের সময় বড়সড় দুর্ঘটনার পর এবার হলদিয়া এনার্জির শাটডাউন নিয়ে কড়া রাজ্যের ডাইরেক্টরেট অব ফ্যাক্টরিজ। শুক্রবার থেকে হলদিয়া এনার্জি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থায় শাটডাউনের কাজ শুরু হয়েছে। শাটডাউন জবে কাজের জন্য যে সমস্ত শ্রমিককে ট্রেনিং দিয়েছে হলদিয়া এনার্জি কর্তৃপক্ষ, তাঁদের নতুন করে দক্ষতা যাচাই করেছে ডাইরেক্টরেট অব ফ্যাক্টরিজ। কারণ শাটডাউনের সময় দক্ষতা ও নজরদারির ফাঁক থেকেই আইওসিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে তদন্তকারী দল। সেজন্য হলদিয়া এনার্জির ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৫ দিনের শাটডাউন জবের জন্য বেশ কিছু দক্ষ শ্রমিক ও টেকনিশিয়ানকে ঠিকাদারের মাধ্যমে ভিন রাজ্য থেকে আনা হয়েছে। বাকি কিছু লোকজন স্থানীয়ভাবে নেওয়া হবে। শাটডাউনে প্রায় পাঁচশোর মতো শ্রমিক লাগছে। এদিকে শাটডাউন জবে কাজের দাবিতে স্থানীয় কিছু লোকজন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
হলদিয়ার কারখানা পরিদর্শক দেবায়ন দে বলেন, শাটডাউনের আগে হলদিয়া এনার্জিতে কয়েক দফা মিটিং করা হয়েছে। যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের ট্রেনিং ঠিকমতো হয়েছে কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। আইওসির দুর্ঘটনার পর এবিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। শাটডাউন চলাকালীন কারখানা পরিদর্শন করা হবে। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর এখনও আইওসির ওপর থেকে পেট্রলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাজেশনের (পেসো) নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি। রাজ্যেরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে। ফলে দুর্ঘটনার ১৮ দিন পরও এমএসকিউ প্ল্যান্ট এলাকায় কাজ শুরু হয়নি। আইএনটিটিইউসির তমলুক জেলার সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, হলদিয়া এনার্জি সংস্থাকে শাটডাউন জবে কাজের সময় শ্রমিক সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। শ্রমিকরা যাতে সমস্ত সুরক্ষা বিধি মেনে চলেন সেবিষয়ে নজরদারি কড়া করার আবেদন জানানো হয়েছে।
No comments