Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি এবং জনতার সচেতনতা

বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি এবং জনতার সচেতনতাবিধি-নিষেধের কড়াকড়ি এবং জনতার সচেতনতা কি তুমুল সংক্রামক ওমিক্রনের পায়ে কিছুটা বেড়ি পরাতে পারল? পরপর চার দিনের পরিসংখ্যান কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৫ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি—শেষ চারদিনে দৈনি…

 


বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি এবং জনতার সচেতনতা

বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি এবং জনতার সচেতনতা কি তুমুল সংক্রামক ওমিক্রনের পায়ে কিছুটা বেড়ি পরাতে পারল? পরপর চার দিনের পরিসংখ্যান কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৫ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি—শেষ চারদিনে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যার লাফিয়ে বৃদ্ধি অনেকটাই কমল। আর ৭ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি—এই ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক করোনা বাড়ল মাত্র ৫৮৯ জনের। যেখানে ৩ থেকে ৪ এবং ৪ থেকে ৫ জানুয়ারি—পরপর দু’দিন দৈনিক করোনা আক্রান্ত বেড়েছিল যথাক্রমে ৩ হাজার এবং ৫ হাজার। 

স্বাস্থ্যদপ্তর প্রকাশিত বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, ৫ জানুয়ারি রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ২২। সেদিন ৬০ হাজার ৫১১ জনের রোগ পরীক্ষা হয়েছিল। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬১৭০ জন। ৬ জানুয়ারি টেস্টের সংখ্যা বেড়ে হল ৬২ হাজার ৪১৩। তার মধ্যে আক্রান্ত ছিলেন ১৫ হাজার ৪২১ জন। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়ে সেদিন ছিল ৬ হাজার ৫৬৯ জন। 

৭ জানুয়ারি ফের টেস্ট বাড়ল ৭৭৪৫ জনের। দৈনিক আক্রান্তও বাড়ল প্রায় ৩ হাজার। আক্রান্ত বেড়ে হল ১৮ হাজার ২১৩ জন। ৮ জানুয়ারি টেস্ট কিছুটা কমল (৬৩ হাজার ৫১৮)। কমল সংক্রমণের লাগামছাড়া উর্ধ্বগতিও (১৮ হাজার ৮০২)। করোনা গ্রাফ একের পর এক পাহাড়চূড়া তৈরি করার পর কিছুটা মালভূমির চেহারা নিল। দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল মাত্র ৫৮৯ জনের শরীরে। কলকাতায় সংক্রমণ আবার আদৌ বাড়েনি। বরং ৭ হাজার ৪৮৪ থেকে কমে হল ৭ হাজার ৩৩৭। এদিন কলকাতা এবং কয়েকটি জেলার পজিটিভিটি রেট তথা আক্রান্তের হার ছিল—কলকাতা ৩৮.৯২, হাওড়া ৩৭.৫৯, বাঁকুড়া ৩৩.৮৬, বীরভূম ৩৭.৪৬ ইত্যাদি। 

ব্যাপারটা কী? ওমিক্রন সংক্রমণের এই অদ্ভূত গতিও কি কোনও শৃঙ্খলা মেনে চলছে? নাকি মানুষ ভয়ে বা ভক্তিতে মুখে মাস্ক পরা বা পারস্পরিক দূরত্ব বজায় সহ কোভিড বিধি মেনে চলায় কিছুটা রাশ টানা সম্ভব হল সংক্রমণে? রা঩জ্যের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল বলেন, মানুষ যত বেশি নিয়ম মানবে, ততই সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙবে। তা সে যতই সংক্রামক ভা‌ইরাস হোক না কেন!   

এদিকে ফের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। শুক্রবার কোভিড পরীক্ষা করান তিনি। এদিন সকালে তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোভিড আক্রান্ত হলেন মন্ত্রী। আপাতত তিনি হোম আইসোলেশনে আছেন। কলকাতা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আরও ৫৯জন পুলিসকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত বাহিনীর ৩৮৪জন আক্রান্ত হলেন। সুস্থ হয়েছেন ৩০জন। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে যুগ্ম কমিশনার অশেষ বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজন পদস্থ পুলিসকর্তাও আছেন। শনিবার পর্যন্ত কলকাতা পুরসভায়ও মোট ৭৩৯ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

No comments