জেলার বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব প্রাবন্ধিক ছোটগল্পকার বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক এবং হলদিয়া রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভাপতি সতুগোপাল ভট্টাচার্য মহাশয় স্মরণসভা
জীবন ও মরণের সীমানা ছাড়ায়ে -------- রয়েছো দাঁড়ায়ে। পূর্ব মেদি…
জেলার বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব প্রাবন্ধিক ছোটগল্পকার বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক এবং হলদিয়া রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভাপতি সতুগোপাল ভট্টাচার্য মহাশয় স্মরণসভা
জীবন ও মরণের সীমানা ছাড়ায়ে -------- রয়েছো দাঁড়ায়ে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব প্রাবন্ধিক ছোটগল্পকার বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক এবং হলদিয়া রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভাপতি সতুগোপাল ভট্টাচার্য মহাশয় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হলো আজ (১৬.০১.২০২২) হলদিয়া টাউনশিপ এর সেকটর ১৩ এ। স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন হলদিয়া রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটি। প্রথমে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন তাঁর সুপুত্র শ্রী অলোকেশ ভট্যাচার্য, বৌমা এবং নাতি এরপর একে একে উপস্থিত সকলেই পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রী দিলীপ কুলভী সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন হলদিয়া তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সতুগোপাল ভট্টাচার্য ছিলেন শিল্প-সংস্কৃতির এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। টাউনশিপ এর সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় তার অবদান অপরিসীম। সতুগোপাল ভট্টাচার্য বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রায় ৬৪ টি নাটকের বই লিখেছেন।এছাড়াও গল্পের বইও রয়েছে। ১৯৭১ সালে জেলার সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান মহিষাদলে মল্লার নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের স্মরন অনুষ্ঠানে মল্লার এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শশাঙ্ক মাইতি,সমকাল নাট্যদলের সুখেন্দু দাস, সংশপ্তক নাট্যদলের কুনাল নন্দ।বর্তমান হলদিয়া ডিএভি স্কুলের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক দীপঙ্কর জানা বলেন তাঁর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সতু বাবু সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতির সমস্ত শাখায় সাবলীলভাবে বিচরণ করেছেন আর এক গভীর ছাপ রেখে গিয়েছেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁরা বলেন তাঁর বাবা দাদা সবাই নাট্যানুরাগী ছিলেন। নাটকের হাতেখড়ি হয় মহিষাদলের রাজবাড়িতে। প্রথমে মহিলা চরিত্রে ও অভিনয় করেন। নাটকের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়া তাপস সেন বিজন ভট্যাচার্য প্রমুখের সংস্পর্শে আসেন। তিনি রেখে গেলেন তাঁর অগনিত ছাএ ছাত্রী অনুরাগীকে। সদাহাস্যময় এই মানুষটির প্রতি উপস্থিত সকলেই গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে দীপিকা মন্ডল তার দরদী কন্ঠে পরিবেশন করেন "তোমারও অসীমে প্রাণমন লয়ে" রবীন্দ্র সংগীত। হলদিয়ার কয়েকজন কবি এবং সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সেকটার ১৩ কয়্যার পরিবেশন করেন "জীবন ও মরণের সীমানা ছাড়ায়ে" গানটি। দৃষ্টিহীন কঙ্কন মাইতি পরিবেশন করেন "আছে দুঃখ আছে মৃত্যু বিরহ"। এভাবেই মানুষটির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন।
No comments